চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক নতুন মডেল উন্মোচন করেছে। মডেলটির কোড নাম ‘স্ট্রবেরি’, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম দেয়া হয়েছে ‘ওপেনএআই ওওয়ান’।
বৃহস্পতিবার মডেলটির দুটি সংস্করণ ‘ওপেনএআই ওওয়ান’ ও ‘ওপেনএআই ওওয়ান মিনি’-র প্রিভিউ উন্মোচন করা হয়। ওপেনএআই বলছে, মডেলগুলো মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে ও আগের চেয়েও জটিল সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, নতুন মডেলটি মানুষের মতো আচরণ করবে। যেকোনো সমস্যার সমাধান দেয়ার আগে বাড়তি সময় নিয়ে ভাববে। এরপর উত্তর দেবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ওওয়ান মডেল চিন্তাভাবনার প্রক্রিয়ার পরিমার্জন করতে সক্ষম। ভুল শনাক্তসহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রশিক্ষণ দেয়া যাবে।
প্রতিষ্ঠানটির পরীক্ষায় নতুন এ মডেল পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের নানা সমস্যার সমাধানে পিএইচডি শিক্ষার্থীদের মতো কাজ দেখিয়েছে। গণিত ও কোডিংয়েও পারদর্শী এটি। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য বাছাই পর্বের পরীক্ষায় নতুন এ মডেল ৮৩ শতাংশ সমস্যার সঠিক সমাধান দিয়েছে।
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘আমরা এ মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি, যেন উত্তর দেয়ার আগে সমস্যাগুলো চিন্তাভাবনার জন্য আরো বেশি সময় ব্যয় করে, অনেকটা মানুষের মতো। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মডেলগুলো চিন্তাভাবনার প্রক্রিয়াটি পরিমার্জন করতে শেখে, বিভিন্ন কৌশল চেষ্টা করে ও ভুলগুলো শনাক্ত করার মধ্য দিয়ে শেখে।’
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন ওপেনএআই মডেলটিতে এখনো এমন অনেক ফিচার অনুপস্থিত যেগুলো মূলত চ্যাটজিপিটিকে কার্যকর করে তোলে। যেমন তথ্যের জন্য ওয়েব ব্রাউজ করা এবং ফাইল ও ছবি আপলোড করা। তবে জটিল সমস্যার সমাধানে বেশ অগ্রগতি অর্জন করেছে।
চ্যাটজিপিটি ক্লায়েন্টে ‘ওওয়ান’ পেতে চ্যাটজিপিটি প্লাস বা টিমে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। এন্টারপ্রাইজ ও শিক্ষা কাজে ব্যবহারকারীরা আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে ব্যবহার করতে পারবেন।
মডেলগুলো এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যবহারের জন্য পাওয়া যাবে না। এটি ব্যবহারে মেসেজের সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এখন ওওয়ান মডেলের প্রিভিউ সংস্করণে সপ্তাহে ৩০টি মেসেজ ও ওওয়ান–মিনি মডেলে সপ্তাহে ৫০টি মেসেজ পাঠানো যাবে। এ সীমা নির্ধারণের কারণ হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড মডেলগুলোর তুলনায় নতুন মডেলগুলো চালু রাখা বেশ ব্যয়বহুল। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ।