শিশুর ইন্টারনেট আসক্তি নিয়ন্ত্রণের কয়েকটি কৌশল

প্রকাশ: সোমবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
Image টেকভয়েস২৪  ডেস্ক
news-banner
  ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে। অনেকে গেমস খেলায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে আপডেট রাখার চেষ্টা করছে। এভাবে শিশুদের ইন্টারনেট নির্ভরতা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে বিপদও রয়েছে। কারণ আপনার সন্তান যেন আপত্তিকর কোনো বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিরাপদ করতে বাবা-মাকে মূলত দুটি জিনিস নজরদারিতে রাখতে হবে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে শিশুরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে কোনো ধরনের বিপদে পড়ছে কিনা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে তারা কোনো আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ছে কিনা।

এ বিষয়ে অ্যাম্বার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, সাইবার অ্যাবিউজ এখন খুব কমন ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এটি একটি হুমকির জায়গা। আরেকটি হচ্ছে অ্যাডিকশন। শিশুরা তখন ইন্টারনেট ছাড়া থাকতেই পারে না বা থাকতেই চায় না, এমন আচরণ করে।

শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। আসুন জেনে নিই কী করবেন-

প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন। শিশুদের যদি কোনো ডিভাইস দেওয়া হয়, তা হলে সেটিতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করাটাই নিরাপদ। গুগলে একটা প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম আছে, যা ব্যবহার করে শিশু কী দেখছে তার ওপর নজরদারি করা সম্ভব। চাইল্ড ভার্সন অপশনটি ব্যবহার করুন। ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের চাইল্ড ভার্সন আছে। সে ক্ষেত্রে শিশুদের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দেওয়া যায়, যেটি তারা ব্যবহার করলেও অভিভাবকদের সুপারভাইস করার সুযোগ থাকে।

শিশুর ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য সময় বেঁধে দিন। শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হলে ইন্টারনেট সংযোগ বাসায় কখন কখন থাকবে আর কখন থাকবে না, সেটির একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ ইনস্টল করুন। প্যারেন্টাল সেফ ব্রাউজার একটি অ্যাপ আছে। এটি যদি শিশুর ডিভাইসে ইনস্টল করা হয় এটি ব্যবহার করে কোন ধরণের অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট দেখতে পারবে না শিশু। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তাবিষয়ক কিছু অ্যাপ ইনস্টল করা উচিত।

ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার সময় সচেতন হোন। কোম্পানির কাছ থেকে ইন্টারনেট সংযোগটি নেওয়া হচ্ছে তা শিশুর জন্য সেফ ইন্টারনেটের ফিচারটি আছে কিনা সেটি যাচাই করে নিন। শিশুর সঙ্গে আপনিও অংশ নিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় আপনিও শিশুর সঙ্গে বসুন। শিক্ষামূলক বিভিন্ন চ্যানেল ও ওয়েবসাইট রয়েছে। তাদেরকে সেগুলো দেখতে উৎসাহিত করুন। নতুন কিছু শিখতে বা তৈরি করতে তাদেরকে আগ্রহী করে তুলুন।

আপনি কী দেখছেন সে বিষয়েও সতর্ক হোন। বাড়ির বাবা-মা বা প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যরা যদি ওই ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করে আপত্তিকর কিছু সার্চ করে বা দেখে, তা হলে সেগুলো ওই আইপি অ্যাড্রেসেই জমা হয়। ওই ইন্টারনেট ব্যবহার করে যদি বাড়ির শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সদস্যরাও কিছু ব্রাউজ করে তা হলে ওই জিনিস বা কন্টেন্টগুলো তাদেরও সামনে চলে আসে। তাই সতর্ক হোন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Leave Your Comments