স্পোর্টস ফিলের ১২৫ সিসি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেল উদ্বোধন করেছে নিটল নিলয়। বাইক স্ট্যান রাইডারদের স্টেজ পারফর্মেন্স আর নাটকীয় উপস্থাপনায় হিরো এক্সট্রিম আর মডেলের এই বাইকটির প্রি-বুকিং ঘোষণা দেন নিটল নিলয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুসাব্বির আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার রেডিসন হোটেলে বাইক কমিউনিটির সদস্য ও চ্যানেল পার্টর্নারদের উপস্থিতে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী সোমবার থেকে ফেসবুকে প্রিবুকিং শুরু হবে। আর বাজারে আসবে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। পাঁচ হাজার টাকা প্রি-বুকিং দিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা মূল্যের বাইকটি গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে নিটল নিলয় গ্রুপের সিএফও বিজয় কুমার মন্ডল উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাইকটি দেশের বাইকারদের জন্য যশোরে হিরো মটোকর্প লিঃ এবং নিটল নিলয় গ্রুপের যৌথ উদ্যেগে প্রতিষ্ঠিত কারখানায় উৎপাদন করা হয়েছে হিরো ১২৫ এক্সট্রিম আর বাইকটি। আন্তর্জাতিক বাজারেও বাইকটির বেইজ মডেলটি জানুয়ারিতে লঞ্চ করা হলেও কেবল বাংলাদেশী বাইকারদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি এই বাইকে পেলিয়ন হ্যান্ডগ্র্যাব, ইঞ্জিন মাফলার ও লেগগার্ড উপহার দেয়া হচ্ছে। সাথে থাকছে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি।
১২৫ সিসি ইঞ্জিন হলেও বাইকের ফ্রন্ট ও রিয়ার সেকশন স্পোর্টস বাইকের মতো আকর্ষণীয় রাখার চেষ্টা করেছে হিরো মটোকর্প। ফলে বাজারে অন্যান্য যে সব বাইক রয়েছে মূলত, টিভিএস রেইডার, বাজাজ পালসার ১২৫ মডেলের বাইককে প্রতিযোগিতায় ফেলতে পারে। তবে দাম নিয়ে ততোটা স্বস্তি প্রকাশ করেননি উপস্থিত বাইকাররা।
এইচ এম সি এল নিলয় বাংলাদেশ লিমিটেডের কারখানায় উৎপাদিত বাইকটির বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে জানানো হয়েছে, হিরো এক্সট্রিম ১২৫আর মডেলে দেওয়া হয়েছে ১২৪.৭ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। লাল, নীল ও কালো রঙের বাইকটি সর্বোচ্চ ১১,৫৫ পিএস শক্তি এবং ১০.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। সঙ্গে ৫ স্পিড গিয়ারবক্স। লিটারে ৬৬ কিলোমিটার চলে। ট্যাংকিতে ধরে ১০ লিটার তেল। তাই দুইবার ট্যাংকি ভরলে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণ খরা যায়।