হোন্ডার জনপ্রিয় মোটরসাইকেল এক্সব্লেড বাংলাদেশের বাজারে এলো পিজিএম-এফ আই এবিএস ভার্সনে। এই ভার্সনে রিফাইন ইঞ্জিন এবং বেশ কিছু অত্যাধুনিক ফিচার যোগ হয়েছে। এছাড়াও চারটি ভিন্ন ভিন্ন রঙ ও গ্রাফিক্সে বাইকটি কেনার সুযোগ রয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঢাকায় এই মোটরসাইকেল উন্মোচন করা হয়।
নতুন এক্সব্লেড ২০২৫ উন্মোচনের পর বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও শিগেরু মাৎসুজাকি বলেন, হোন্ডার গ্লোবাল ভিশন হলো মানুষের জীবনের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে উপভোগ্য করে তোলা, যা সাশ্রয়ী এবং মানসম্মত গতিশীল সমাধানের মাধ্যমে সম্ভব।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এক্সব্লেড সিরিজ চালু হওয়ার পর থেকে ৬০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রাহক হোন্ডার ওপর আস্থা রেখেছেন। নতুন এক্সব্লেড এফআই এমন প্রযুক্তি দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে যা উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবকদের চাওয়া পূরণে সহায়ক হবে।
এক্সব্লেডকে ‘স্ট্রিট অল-রাউন্ডার’ অভিহিত করে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স, কমফোর্ট ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের মিশেলে এটি তৈরি করা হয়েছে। যে প্রজন্ম নিজেকে ‘অল-রাউন্ডার’ হিসেবে দেখতে আগ্রহী তারা সহজেই হোন্ডার বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তির প্রতি আকৃষ্ট হবে, যা পিজিএম-এফআই প্রযুক্তি এবং তীক্ষ্ণ ডিজাইনের সঙ্গে পারফরম্যান্স ও স্টাইলের নিখুঁত সমন্বয় ঘটিয়েছে। আমরা আশাবাদী নতুন এক্সব্লেড এফআই ইঞ্জিনের এক্সব্লেড বাংলাদেশের গ্রাহকদের মন জিতে নেবে।
নতুন এক্সব্লেড ২-২৫ ভার্সনে রয়েছে ১৬০ সিসি ইউরো ৩ পিজিএম-এফআই ইঞ্জিন ও ১৪.৭ নিউটন মিটার টর্ক, যা দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের সঙ্গে প্রতি লিটারে ৬০ কিলোমিটার মাইলেজ দেয়। এর আকর্ষণীয় ডিজাইনে আছে শার্প স্কাল্পটেড ফুয়েল ট্যাংক, স্টাইলিশ গ্রাফিক্স, এবং একটি সিগনেচার রোবো-ফেস এলইডি হেডলাইট, যা এর সৌন্দর্য ও নান্দনিকতা বাড়িয়ে তোলে।
এছাড়াও নিরাপত্তা এবং কন্ট্রোলের জন্য এক্সব্লেড পিজিএম-এফআই মডেলে রয়েছে এবিএস (অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম), পেটাল ডিস্ক ব্রেক, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আছে ব্যাংক অ্যাঙ্গেল সেন্সর, এবং সাইড স্ট্যান্ড কাট-অফ সুইচ, যা আরও বেশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
স্বাচ্ছন্দ্য ও আরামের পাশাপাশি মোটরসাইকেলটিতে আছে স্ট্রিট-টেক ডিজিটাল মিটার যা রাইডারকে তথ্য প্রদর্শন করবে। আছে হ্যাজার্ড সুইচ, যা সামনের দৃশ্য দেখতে সমস্যা হলে পেছনে থাকা চালকদের সতর্ক করবে। চালক ও যাত্রীর বসার জন্য রয়েছে চওড়া ও আরামদায়ক আসন এবং স্বল্প রক্ষণাবেক্ষণযুক্ত সিল্ড চেইন।
নতুন এক্সব্লেডের দাম ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। বাইক এটি পাওয়া যাচ্ছে চারটি স্টাইলিশ রঙে। এগুলো হলো রেডিয়েন্ট রেড মেটালিক, ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে মেটালিক, পার্ল ইগ্নিয়াস ব্ল্যাক, এবং পার্ল ডিপ গ্রাউন্ড গ্রে। আজ থেকে হোন্ডার ডিলার পয়েন্ট থেকে মোটরসাইকেলটি কেনা যাবে।