গাড়ির ভেতরের প্রযুক্তি এবং ডিজাইনে আসছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। দক্ষিণ কোরীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এলজি সম্প্রতি এমন একটি নতুন ডিসপ্লে প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছে, যা গাড়ির ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ধারা বদলে দিতে পারে চিরতরে। 'ড্রাইভিং দ্য ফিউচার' স্লোগানে এলজির এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিসপ্লে শুধু একটি স্ক্রিন নয়-এটি একইসাথে বাটন হিসেবেও কাজ করতে সক্ষম।
স্ক্রিনই বাটন, নিয়ন্ত্রণ এখন এক ছোঁয়ায়
এই ডিসপ্লেটির সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো, এটি প্রয়োজন অনুযায়ী সমতল স্ক্রিন থেকে বাটনে রূপ নিতে পারে। ব্যবহারকারীর স্পর্শ পেলে ডিসপ্লের নির্দিষ্ট অংশ উঁচু হয়ে উঠে যায়, এবং সেটিকে নিয়ন্ত্রণ বাটনের মতো ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ, একটিমাত্র স্ক্রিন দিয়েই গাড়ির ভেতরের সব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে- আর আলাদা করে কোনো সুইচ, বাটন বা কন্ট্রোল ইউনিটের প্রয়োজনই থাকবে না।
উন্নত প্রযুক্তি, নিখুঁত অভিজ্ঞতা
নতুন এই ডিসপ্লেটি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত প্রসারিত করা যায় এবং বিস্ময়করভাবে, স্ক্রিনটি প্রসারিত হলেও এর রেজল্যুশন বা রঙের মান একটুও পরিবর্তন হয় না। এতে রয়েছে প্রতি ইঞ্চিতে ১০০ পিক্সেল রেজল্যুশন এবং পূর্ণ RGB রঙের ক্ষমতা, যা যেকোনো গ্রাফিক্স বা ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে।
নিরাপত্তার জন্য ‘সুইচেবল প্রাইভেসি মোড’
ড্রাইভারের মনোযোগ যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য এলজি এই ডিসপ্লেতে নিয়ে আসছে ‘সুইচেবল প্রাইভেসি মোড’। এই ফিচার চালু থাকলে সামনের যাত্রীরা যেসব ভিডিও বা অ্যাপ চালাচ্ছেন, তা ড্রাইভার স্পষ্টভাবে দেখতে পাবেন না। ফলে ড্রাইভিংয়ের সময় মনোযোগ থাকবে পুরোপুরি রাস্তার ওপর, বাড়বে নিরাপত্তা।
পেছনের যাত্রীদের জন্য আলাদা সুবিধা
শুধু সামনের স্ক্রিন নয়, পেছনের যাত্রীদের জন্যও থাকছে আরামদায়ক অভিজ্ঞতা। এলজি ঘোষণা দিয়েছে, তারা তৈরি করছে ১৮ ইঞ্চির স্লাইডযোগ্য OLED স্ক্রিন, যা -৪০ ডিগ্রি থেকে ৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারবে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস