কারিজমার ওপর ভিত্তি করে নতুন এক্সক্লুসিভ মোটরসাইকেল আনল হিরো। যার নাম সেন্টিনিয়াল। এই বাইকের বিশেষত্ব তার ডিজাইন ও চেহারায়। এই বাইক তৈরি করেছে হিরো মটোকর্প এবং জার্মানির হিরো টেক সেন্টার। এটি একটি লিমিটেড এডিশনের বাইক।
২০২৩ সালে লঞ্চ হওয়া হিরো কারিজমা এক্সএমআর-২১০ ওপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয়েছে এই বাইক। এটি বানিয়েছে হিরো সেন্টার ফর ইনোভেসন এবং জার্মানিতে অবস্থিত হিরো টেক সেন্টার।
হিরো সেন্টিনিয়াল বাইকের ১০০টি ইউনিট নিলাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। শিগগিরই এই নিলাম শুরু হবে। তবে বাইকের নিলাম সবার জন্য উপলব্ধ নয় বলে জানিয়েছে সংস্থা। শুধু হিরো মটোকর্পের কর্মচারী, বিজনেস পার্টনার এবং স্টেকহোল্ডাররাই অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
হিরো মটোকর্পের প্রতিষ্ঠাতা ব্রিজমোহন লাল মুঞ্জলের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কারিজমা স্পেশাল এডিশন লঞ্চ করা হয়। সেই বাইকের নতুন অবতার হিরো সেন্টিনিয়াল। নিখুঁত শিল্পের সঙ্গে প্রিমিয়াম ফিচার্স রয়েছে বাইকে। ক্যারিজমার স্ট্যান্ডার্ড ভার্সনে এমন ডিজাইন এবং ফিচার্স নেই।
তবে হিরো সেন্টিনিয়ালের ইঞ্জিন সম্পর্কিত কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি সংস্থা। বাইকে রয়েছে টাইটানিয়াম এক্সহস্ট এবং ডায়মন্ড কাট অ্যালয় হুইল। সাসপেনশন রয়েছে সম্পূর্ণ অ্যাডজাস্টেবেল মনো-শক এবং টেলিস্কপিক ফ্রন্ট ফর্ক।
হিরো সেন্টিনিয়াল বাইকের স্পেসিফিকেশন প্রকাশ করা না হলেও, এই বাইকটি যেহেতু হিরো কারিজমা থেকে অনুপ্রাণিত, তাই কারিজমা এক্সএমআর-এর ফিচার্স জানলেই অনেকটা আন্দাজ করা যায়। এতে মিলবে ২১০ সিসি ইঞ্জিন, যা সর্বাধিক ২৫.১৫ হর্সপাওয়ার এবং ২০.৪ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। বাইকের মাইলেজ ৩৫ কিমি প্রতি লিটার।
বাইকের সামনের চাকায় রয়েছে টেলিস্কপিক ফর্ক এবং পেছনে মনো-শক সাসপেনশন। ব্রেকিংয়ের ক্ষেত্রে দুই চাকাতেই রয়েছে ডিস্ক ব্রেক এবং ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। একটা সময় ভারতে দারুণ জনপ্রিয় ছিল হিরো কারিজমা। গত বছর সেই বাইকের নতুন অবতার লঞ্চ করেছে সংস্থা।
এতে ফিচার্স রয়েছে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট এবং এলইডি লাইটিং।