ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়োজনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী রোবোট্রনিক্স ফেস্ট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং আরএমই-ডিইউ স্টুডেন্ট ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো রোবটের এই উৎসবে পাঁচটি চ্যালেঞ্জিং ও আকর্ষণীয় সেগমেন্ট- সকাররোবট, লাইন ফলোয়ার রোবট, মাইক্রোমাউস ও আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ বিষয়ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন দেশের তরুণ উদ্ভাবক ও গবেষকরা।
নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবরে চলমান ফেস্টে দেশের ৫০টি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ দল মিলিয়ে প্রায় ৯০০ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। প্রতিটি দল এই উৎসবে নিজেদের প্রকল্প প্রদর্শন ককরছেন। সায়েন্স কমপ্লেক্স ভবনের ৯ম তলায় বাস্তব সমস্যা সমাধানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেটা অ্যানালিসিস, মডেলিং ও প্রেডিকশন করছেন শিক্ষার্থীরা।
সিনেটের অ্যালামনাই হলে প্রতিযোগীরা রিমোট কন্ট্রোল রোবট পরিচালনা করে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কৌশলগতভাবে গোল দেওয়ার চেষ্টা করছে। একই ভ্যেনুতে ‘প্রজেক্ট শোকেস’-এ শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্ভাবনী প্রকল্প ও গবেষণাভিত্তিক ধারণা উপস্থাপন করছেন।
আর সিনেট সম্মেলণ কক্ষে চলছে ‘লাইন ফলোয়ার রোবট’ এবং ‘মাইক্রোমাউস’ ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীদের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ইন্টিগ্রেশন, সেন্সর ডেটা বিশ্লেষণ এবং পথনির্ধারণ অ্যালগরিদম বাস্তবায়নের দক্ষতা যাচাই।
সিনেট ভবনের সম্মেলন কক্ষেই ৯ আগস্ট, শনিবার এই ফেস্টের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন ড. সেঁজুতি রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, প্রযুক্তির প্রভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। এই পরিবর্তন আরও দ্রুত হওয়ার জন্য ভবিষ্যতে যেসব প্রযুক্তি ভূমিকা রাখবে তার মধ্যে রোবটিক্স, মেকাট্রনিক্স, মেশিন লার্নিং এবং আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স অন্যতম। প্রযুক্তি নির্ভরতার কারণে ভবিষ্যতে চাকরির বাজারেও অনেক পরিবর্তন আসবে।
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ব্যবহারিক জীবনে প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগের দিকে নজর দিতে হবে। তবে শিক্ষার্থীদের সবসময় মনুষ্যত্ব, মানবিকতা ও আন্তরিকতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের রোবটিক্স ও মেকাট্রনিক্স বিষয়ক উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে এই ফেস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।