এন্ট্রি-লেভেল চাকরি প্রার্থীদের জন্য বাসা থেকে কাজের সুযোগ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সুপারমার্কেট চেইন মীনা বাজার। গত ১০ জুন থেকে থেকে এ সুযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ রিমোট ইন্টারভিউর (বাসা থেকে চাকরির সাক্ষাৎকার) সুবিধা দিচ্ছে। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, রিটেইল চেইন সুপার শপ মীনা বাজার গুগলের জব-ম্যাচিং অ্যাপ ‘কর্ম’র সাথে কাজ করছে।
সম্প্রতি ‘কর্ম’ এর নতুন ফিচার ‘রিমোট জবস লিস্টিং’ ও ‘রিমোট ইন্টারভিউস’ চালু করেছে; এর ফলে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির সময়ে নিয়োগকর্তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা বাসা থেকে কাজের সুযোগ খুঁজছেন এবং নিরাপদে অনলাইনে সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করতে চান তাদের জন্য এটি একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম।
এ বৈশ্বিক মহামারির সময়ে মানুষ বাসায় থাকছেন; আর এ পরিস্থিতিতে, সম্প্রতি ক্রেতাদের জন্য ডেলিভারি সেবার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মীনা বাজার এ বিষয়ে এগিয়ে এসেছে। এর ফলে, এ সময়ে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে প্রতিষ্ঠানটির আরো জনবল নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি এক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের বাসা থেকে সাক্ষাৎকারের সুবিধা দিচ্ছে।
শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই মীনা বাজার তাদের একমাত্র রিক্রুটমেন্ট চ্যানেল কর্ম অ্যাপের মাধ্যমে লকডাউন চলাকালীনই চারশ’ জনেরও বেশি কর্মীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
মীনা বাজারের মহা ব্যবস্থাপক আহমেদ শোয়েব বলেন, এ প্রতিকূল সময়ে, আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ দল কর্ম- এর সাথে কাজ করছে এবং জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে বাসা থেকে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করছে। এ প্রক্রিয়াটি আমাদের কর্মী দল এবং চাকরিপ্রার্থী উভয়ের জন্যই সুরক্ষিত ও নিরাপদ।
তিনি আরও বলেন, এ সঙ্কটকালীন সময়ে জরুরি সেবাদাতা হিসেবে ক্রেতাদের জন্য সামনে এগিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। আমরা আশা করছি, কর্মের সাথে আমাদের এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা আমাদের চাহিদানুযায়ী জনবল নিয়োগ করতে সক্ষম হবো, যা দ্রুতই আমাদের কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি করবে; যারা বাসা থেকেই কাজ করবেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মতে, বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশই তরুণ, সেখানে চাকরি প্রার্থীদের সহায়তা করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, বৈশ্বিক মহামারির প্রভাব শ্রম বাজারে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
মীনা বাজার বাসায় থেকে কাজ করার সুযোগ বৃদ্ধিতে এবং একে স্থায়ী চাকরিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি তরুণ চাকরিপ্রার্থীদের বর্তমান প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করছে এবং দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কাজ করছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হওয়ার পর, বাংলাদেশে ‘কর্ম’ হাজারো এন্ট্রি-লেভেল চাকরি প্রার্থীদেরকে নিয়োকর্তার সাথে যোগাযোগের এবং চাকরির সুযোগ করে দিয়েছে। নতুন চালু হওয়া এ ফিচারগুলো চাকরির ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুযায়ী নিয়োগকর্তাদের সাড়াদানের প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করবে এবং বাসা থেকে কাজের বিষয়ে উৎসাহ দিবে।
পাশাপাশি, নিয়োগকর্তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগকে চাকরিপ্রার্থীদের ফিডে হাইলাইট করবে ও দূরবর্তী সাক্ষাৎকারের প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে এবং কোভিড-১৯ এর সময়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তা ও ব্যক্তিকে সময়পোযোগী হালনাগাদ তথ্য দিবে।
এ নিয়ে কর্ম- এর লিড বিকি রাসেল বলেন, এ পরিস্থিতিতে যেহেতু নিয়োগদাতা ও চাকরি প্রত্যাশীরা সবসময় বাসার বাইরে বের হতে পারছেন না, তাই তাদের জন্য সঠিক সুযোগগুলো খুঁজে পেতে সহায়তায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এই ফিচারগুলো চালু করার মাধ্যমে আমরা তাদেরকে একে অপরের সাথে যোগাযোগে সহায়তা করছি।