আগামী ২০২৬ সাল নাগাদ দেশের বাজারে চালু হচ্ছে ইন্টারপেবল পেমেন্ট সল্যুশন। এটা হবে সবচেয়ে কম খরচের সল্যুশন। সেমিনারে এমনটাই জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দেব দুলাল রায়।
রাজধানীতে চলমান চার দিনের বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের শেষ দিন, বৃহস্পতিবার প্রযুক্তি ও নীতিসুবিধায় বিদ্যমান বাধা ডিঙিয়ে দেশের অন্তর্ভূক্তিমূলক ডিজিটাল উন্নয়ন নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাত এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবসময় নীতিমালার ক্ষেত্রে উদার। যার উদাহরণ হিসেবে ২০১০-১২ সালের দিকে সেবার মান উন্নয়ন ও খরচ কমানোর যুক্তিতে আবেদন করতেই দেশের কয়েকটি ব্যংককেকে ক্লাউড সার্ভিস চালুর অনুমতি দেয়া হয়। তবে সরকারকে বার বার অনুরোধ করার ফলে ২০২০ সালের পর সরকার ক্লাউড পলিসি করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা এখনো বাস্তিবায়িত হয়নি।
তিনি বলেন, অবশ্য উপদেষ্টা এরইমধ্যে জানিয়েছেন ক্লাউড পলিসি ডক্যুমেন্ট, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা নীতিমালা এবং সাইবার সুরক্ষা নীতিমালার পেপার্স রিভিউ করা হচ্ছে। এগুলো হওয়ার পর আমরা সবকিছুই উন্মুক্ত করে দেবো। আইনের কারণে আমাদের পলিসিগুলো আরোপ করতে হয়।
সিটি ব্যাংক এনএ- এর পরিচালক মোহাম্মাদ এ আখতারের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তা ছিলেন মেটার বাংলাদেশ ও নেপালের পাবলিক পলিসির প্রধান রুজান সারওয়ার, অ্যান্ট ইন্টারন্যাশনালের ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক পলিসি পরিচালক ইয়ানফ্যান ঝাং, গ্রামীণ ফোনের সিএফও অটো মাগনে রিসব্যাক এবং সিটি এশিয়ার পাবলিক সেক্টর সেলস হেড রহিত জাওয়াল।
ইয়ানফ্যান ঝাং বলেন, ক্রসবর্ডার পেমেন্ট নির্ভর করে বহুপক্ষীয় অংশীদারীত্বের ওপর। বাংলাদেশকে এসএমই, ব্যক্তি উদ্যোক্তা এবং করপোরেট খাতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এই কৌশলটা নির্ধারণ করতে হবে। তাই আমরা দুই টি- ট্রাভেল এবং ট্রেড বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। যেমনটা উপদেষ্টা জানিয়েছেন, দেশের ৩৩ শতাংশ এসইএমই দেশের ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান তৈরি করে। কিন্তু এগুলো বৈশ্বিক বাজার বা রফতানির জন্য অংশ নিতে পারছে না। কেননা তারা জানে না এটা কিভাবে করতে হয়। তাই এসএমই দের ই-কমার্সে এসে গ্লোবাল ট্রেডে অংশ নিতে হবে। এজন্য স্বস্তা, দ্রুত, দক্ষ ও স্বচ্ছ পেমেন্ট সল্যুশন তৈরি করতে হবে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিকাশে ফেসবুক এর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেটার উদ্যোগ তুলে ধরে বাংলাদেশ ও নেপালের পাবলিক পলিসির প্রধান রুজান সারওয়ার বলেন, ফেসবুকের ডিজিটাল সেবা নিয়ে অনেকেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন। প্রযুক্তির সহযোগিতায় এখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ভালো প্রবৃদ্ধি করছেন। আমরা এখন ক্যাশলেস পেমেন্টের জন্য ডেভলাপার কমিউনিটিকে সক্ষম করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। আর্থিক খাতের ডিজিটাল রূপান্তর করতে চাইলে এই খাতের বাধাগুলো চিহ্নিত করতে হবে।
আলোচনায় প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনশীলতার এই সময়ে ডিজিটাল অর্থনীতিকে বেগবান করতে হলে যে কোম্পানিগুলো এগুলো নিয়ে কাজ করছে তাদের লাইসেন্স জটিলতাকে সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন গ্রামীণ ফোনের সিএফও অটো মাগনে রিসব্যাক।