দেশে তৈরি পোশাকশিল্পে পরিবেশবান্ধব কারখানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগে ২৩৭টি পোশাক কারখানাকে প্রদান করা হলেও নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো তিনটি কারখানা। এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট ২৪০টি কারখানা এখন পরিবেশবান্ধব সনদ পেল।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
নতুন করে যে তিনটি কারখানাকে পরিবেশবান্ধব সনদ প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হলো -গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ইকোটেক্স লিমিটেড, বোর্ড বাজারের এলিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং শ্রীপুরের ইউরো নিট স্পিন লিমিটেড।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে কারখানা তিনটি।
বাংলাদেশের যে ২৪০টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ৯৮টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১২৮টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। এই কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে।
বাকি ১৪টি কারখানার মধ্যে সিলভার সদনপ্রাপ্ত কারখানা ১০টি এবং সার্টিফায়েড সদনপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৬৬টি কারখানাই এখন বাংলাদেশের।
এই সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো, লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।