গেম বেইজড ই-লার্নিংকে আকর্ষিত করার ৭ পদ্ধতি

প্রকাশ: বুধবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪  ডেস্ক
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

ই-লার্নিংয়ের অন্যতম অংশ হচ্ছে গেম বেইজড লার্নিং সিস্টেম। এ সিস্টেমে সহজেই শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আকর্ষিত করা যায়। গেমের মাধ্যমে অনেক জটিল ও কঠিন বিষয়গুলো সম্পর্কে সহজেই ধারণা দেয়া যায়।

একটি জরিপে দেখা যায় যে, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে গেম বেইজড লার্নিং সিস্টেম-
# ২০% বেশি দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক
# ৯% বেশি স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
# ১১% বেশি ব্যাখ্যামূলক শিক্ষা বুঝতে সহায়তা করে
# ১৪% বেশি পদ্ধতিমূলক বা সৃজনশীল শিক্ষা প্রদানে সক্ষম।

তাই বর্তমানে ই-লার্নিং সিস্টেমে গেম বেইজড লার্নিং একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নিচে গেম বেইজড ই-লার্নিং প্লাটফর্মকে আকর্ষিত করার জন্য ৭টি পদ্ধতি তুলে ধরা হল-

১। গেম ডিজাইনারের মত ডিজাইন করা
‘কোথায়, কেন, কোনটি এবং কিভাবে’- যদি এই সকল সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তাবিত গেম উপাদানটির সাথে সঠিক ই-লার্নিং সিস্টেম গঠন করা যায়, তাহলে লার্নিং সিস্টেম আরও সহজ হয়ে যাবে। লার্নিং বিশেষজ্ঞরা একটি গেম ডিজাইনারের মত মনে করার পরামর্শ দেন এবং গেমগুলি সংহত করে যা লার্নিং সামগ্রীর সাথে একত্রে কাজ ক্রার উপযোগী করে তুলতে বলে যাতে গেমের মাধ্যমেই শিক্ষাদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।

২। মজার বিষয় যুক্ত করা
প্লাটফর্মে বিভিন্ন মজার মজার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যায় তাহলে প্লাটফর্মের প্রতি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে ও শিক্ষা প্রক্রিয়াটি মজার হবে। শিক্ষার্থীরা বিরক্তি ছাড়ায় পাঠে মনোনিবেশ করতে পারবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মিনি গেমস উপাদান, কুইজ প্রশ্ন –উত্তত ইত্যাদি যুক্ত করা যায়।

৩। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা
শিক্ষার্থীদের এই শিক্ষাক্ষেত্রকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন-ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসআপ, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদিতে শেয়ার করা যায়। এতে সহজেই আন্তঃ যোগাযোগ ও সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাবে। একে অপরের সাথে মতামত শেয়ার করতে পারবে। নিজেদের উন্নতির বিষয়গুলো শেয়ার করতে পারবে। ফলে অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই শিক্ষা প্রক্রিয়াটি আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে ।

৪। ধাপে ধাপে শিক্ষা দান
পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে সহজ থেকে ক্রমান্বয়ে কঠিন বিষয়গুলো বুঝানো যেতে পারে। ধাপে ধাপে সঠিক ও সুস্পষ্ট শিক্ষাদানের বিষয়টি গেম বেইজড লার্নিং কে অন্যমাত্রায় নিয়ে যাবে।

৫। শেখার ক্ষমতা ব্যক্তিকরণ
গেম বেইজড লার্নিং স্বশিক্ষার একটি উপযুক্ত মাধ্যম। আর এর ফলে সহজেই যে কেউ নিজের ইচ্ছামতো বিষয়ে পরিপূর্ণ শিক্ষা লাভ করতে পারে। ইন্টারনেটে একই বিষয়ের অনেক টপিক থেকে নিজের পছন্দমতো টপিক নির্ধারণ করে শেখার ক্ষমতা বাড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে গেম বেইজড হতে পারে সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্লাটফর্ম।

৬। শিক্ষার্থীর শেখার লক্ষ্য নির্ধারণ
প্লাটফর্মে যদি নির্দিষ্ট টাস্ক দেওয়া থাকে এবং নিজেকে যাচায়ের সুযোগ থাকে তবে শিক্ষার্থীরা সহজেই সেদিকে আকর্ষিত হবে। পাঠ শেষে তা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিজেদের দক্ষতা যাচায়ের সুযোগ পাবে।

৭। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা শেয়ার
যদি প্লাটফর্মে ফিডব্যাক বা ফলো-আপ করার সুযোগ রাখা হয় তবে তা অন্যান্য প্লাটফর্মের তুলনায় অধিক আকর্ষণিয় হবে। আর এতে যদি অন্যান্য ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ থাকে তবে তা সহজেই পাঠককে আকর্ষণ করবে। আর এতে প্লাটফর্মটি সকলের জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

যেহেতু বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা ব্যবহার করেই শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে তাই সে ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য গেম বেইজড় প্লাটফর্ম হতে পারে সেটা লার্নিং প্লাটফর্ম।

লেখক : নাজমুন নাহার নূপুর, কন্টেন্ট রাইটার, ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ গ্রুপ

 

image

আপনার মতামত দিন