স্বপ্ন দেখতে কে না ভালোবাসে? সবাই স্বপ্ন দেখেন। অন্য পাঁচটা সাধারণ যুবকের মতো তিনিও ভবিষ্যত ক্যারিয়ার জীবন নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। একদিন নিজের একটা বড় আইটি প্রতিষ্ঠান হবে। ওই প্রতিষ্ঠানে দেশের বেকার যুবকদের আইটিতে প্রশিক্ষণ দেবেন। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশ-বিদেশে কাজ করার মতো উপযুক্ত ও দক্ষ করে গড়ে তোলবেন। সে লক্ষ্যে একটু একটু করে নিজেকে প্রস্তুত করেন। আইটিতে দক্ষ করে গড়ে তুলেন। সময়ের পলাক্রমে আজ তিনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। একইসাথে দেশের হাজারো বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের স্বপ্নদ্রষ্টা।বলছিলাম আত্মপ্রত্যয়ী, সফল ফ্রিল্যান্সার ও প্রফেশনাল আইটি ট্রেইনার মো. রায়হানুল ইসলামের কথা। তার এই সফল ফ্রিল্যান্সার ও প্রফেশনাল আইটি ট্রেইনার হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর কথা। আজকে আমরা শুনবো মো. রায়হানুল ইসলামের আইটি ক্যারিয়ারে সফল হয়ে ওঠার আদ্যোপান্ত।
মো. রায়হানুল ইসলামের জন্ম বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শান্তিনগরে মধ্যবিত্ত এক পরিবারে। শৈশব ও কৈশোর কাটে নিজ এলাকাতেই। শেরপুর সরকারি ডি জে মডেল হাইস্কুলের কমার্স বিভাগ থেকে এসএসসি এবং বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
সময়টা ছিল ২০০৬ সাল। তখন ঢাকা শহর ছাড়া জেলা বা বিভাগীয় শহরগুলিতে সেভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছেনি। বগুড়াতে তখন থেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কেউ কেউ ফ্রিল্যান্সিংও করছিল। বিষয়টা রায়হানুলের মাথায় ঢুকে। যেসব স্থানীয় যুবকরা ফ্রিল্যান্সিং করতেন তাদের সাথে কথা বলেন। বিষয়টা ভাল করে জেনে-বুঝে ফ্রিল্যান্সিং করার উদ্দেশ্যে কম্পিউটার শেখার জন্য ভর্তি হন বগুড়া ক্রিয়েটিভ আইটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে। লক্ষ্য ভাল করে কম্পিউটার চালানো শেখা। প্রথমে মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রাম শেখেন। কম্পিউটার চালানোর প্রাথমিক বিষয়গুলি জানার পর শেখার আগ্রহ বেড়ে যায় তার দ্বিগুণ।
রায়হানুল বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি স্থানীয় লোকদের যেকোনো পোস্টার, ব্যানার, আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে দিতো। আমি বসে বসে সেগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখতাম। গ্রাফিক ডিজাইনের কাজগুলি খুব ভাল লাগতো। ওই ডিজাইনার কিভাবে গ্রাফিকসের কাজ করছে সেগুলো খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতাম। কখনো কৌতুহল বশে কাজ বিষয়ে কোন প্রশ্ন করলে, তখন ওই গ্রাফিক ডিজাইনাররা বলতেন, এসব বিষয় তুমি বুঝবা না, পারবা না। অন্যরা গ্রাফিকসের কাজ পারলে আমি পারবো না কেনো? তখন মাথায় জেদ চাপে। যেকোনো মূল্যেই হোক, আমাকে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ শিখতেই হবে।
এইচএসসি পাস করার পর এবার উচ্চশিক্ষা নিতে হবে। ভর্তি হন বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে। তখনও মাথায় শুধু কাজ করছিল গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার বিষয়টা। অনেকটা জেদ করেই একটা ল্যাপটপ কিনে ফেলেন। এখন তার শেখার পালা। বর্তমানে যেমন সহজে হাতের নাগালে ব্রডব্যান্ড, মোবাইল ইন্টারনেট ও ইউটিউব প্লাটফর্ম রয়েছে, তখন বিষয়টা এতো সহজ ছিল না। বাজার থেকে এডোবি ফটোশপের বই কিনে ভাল ভাবে আয়ত্ত করে, সে অনুসারে ল্যাপটপের ফটোশপে বসে বসে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করার চেষ্টা করতেন।
রায়হানুল বলেন, আমার আল্লাহ প্রদত্ত একটা বিশেষ গুণ ছিল সেটা হলো, যেকোনো সফটওয়্য়ার সম্পর্কে পড়াশোনা করলে, পরে সেটি নিয়ে গুগলে একটু রিসার্চ করলে, অল্প সময়ের মধ্যে ওই সফটওয়্যারের ফাংশন সম্পর্কে সহজে বুঝতে পারতাম। এভাবে বই পড়ে নিজের অদম্য চেষ্টায় চলার মতো গ্রাফিকসের কাজগুলি শিখে ফেলি।
পড়ালেখার পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রম করতে পছন্দ করতেন রায়হানুল। এসএসসি পাস করার পর থেকেই নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে টিউশনি করতেন। গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ শেখার পর স্থানীয় পত্রিকায় সাংবাদিকতা করারও সুযোগ হয় তার। শেরপুরের সাপ্তাহিক উত্তরাঞ্চল বার্তা পত্রিকায় ফ্রিল্যান্সার রিপোর্টার হিসেবে লেখালেখি করা শুরু করেন তিনি। অফিসে নিজের রিপোর্ট জমা দেয়ার পর যখন পত্রিকার পেজ মেকাপ দেয়া হতো, তখন তিনি পাশে বসে সেটি মনোযাগ দিয়ে দেখতেন। এক বছরের মধ্যে উত্তরাঞ্চল বার্তা পত্রিকার পেজ মেকাপের কাজগুলি শিখে ফেলেন।
একটা সময়ে এসে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ওই পত্রিকার পেজ মেকাপের পুরো কাজটা নিজে করা শুরু করেন। টানা দুই বছর পেজ মেকাপের কাজটা করেন। অন্যদিকে এক বছরের মধ্যেই গ্রাফিকসের কাজ ও রিপোর্টিংটা ভাল ভাবে শেখা হয়ে যায় তার। তখন বগুড়ার স্থানীয় দৈনিক বাংলা বুলেটিনে নিজস্ব প্রতিবেদক এবং বগুড়া সংবাদ ডটকম, দৈনিক সকালের খবর পত্রিকার বগুড়া ও শেরপুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
রায়হানুল বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা, গ্রাফিকসের কাজ করতে করতে অনার্স পাস করি। একই প্রতিতষ্ঠানে ভর্তি হই ব্যাচলর অব বিজনেস স্টাডিজ (বিবিএস) বিভাগে। গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করতে করতে ইতিমধ্যেই আমার প্রোফাইলটা ভারি হয়ে ওঠে। তখন বুলবুল বিগ বস নামের স্থানীয় একজন নামকড়া ফ্রিল্যান্সার আমাকে বলেন, আপনি তো গ্রাফিকসের কাজ খুব ভাল বুঝেন আর করছেনও। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন না কেনো? আপনি আপওয়ার্কে একটা একাউন্ট খুললে ভাল ইনকাম করতে পারবেন।
তখন আপওয়ার্কে একটা একাউন্ট খুলি। প্রথম কাজ পাই লগো ডিজাইনের। মূল্য ছিল ৫ ডলারের। পরে একটা ওয়েবপেজ ডিজাইনের কাজ পাই। সেটা ঘণ্টা প্রতি পারিশ্রমিক ছিল ৮ ডলারের। এক মাসের মতো করার পর তৃতীয় কাজ পাই একটা লগো ও লিফলেট ডিজাইনের। মূল্য ছিল ৩০০ ডলারের। ওই কোম্পানির তিনজন ব্যক্তি তিনটা প্রোফাইল দিয়ে পর পর আমাকে হায়ার করেন। তারা মাসে ৪০০/৫০০ ডলারের কাজ দিতেন।
উদীয়মান তরুণ এই ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন কোম্পানির লগো, লিফলেট, ব্রুসিয়ার, ভিজিটিং কার্ড, আইডিকার্ডের ডিজাইনের কাজ করতেন। তখন তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি পুরোদস্তুর ফ্রিল্যান্সার। এরই মধ্যে বিবিএস পাস করে মাস্টার অব বিজনেস স্টাডিজ (এমবিএস) এবং পরে ফাইন আর্টসে ডিপ্লোমা করেন।
২০১৪ সালে মাস্টার্স পাস করার পর স্থানীয় যুবকদের কম্পিউটার শেখানোর জন্য একটা ট্রেনিং ইনস্টিটিউট দেয়ার কথা চিন্তা করেন তরুণদের স্বপ্নদ্রষ্টা রায়হানুল। তখন স্থানীয়ভাবে কম্পিউটার শেখার জন্য ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। বিষয়টা ফ্রিল্যান্সার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে তারা সবাই এ কাজে তাকে উৎসাহ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। সবাই পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় তখন প্রতিষ্ঠান চালু করেন তিনি। নাম দেন ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’। পরে সরকারিভাবে নিবন্ধনের প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করতে গিয়ে একই নামে আরো প্রতিষ্ঠান থাকায় নাম পরিবর্তন করে দেয়া হয় আরসিটি ইনস্টিটিউট। আইটি বিষয়ক ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান 'আরসিটি ইনস্টিটিউট'। স্থানীয় সেরা ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা পরিচালিত কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটটি চারদিকে বেশ সাড়া ফেলে দেয়। প্রতিটা ব্যাচে ৫০-৬০জন করে স্টুডেন্ট ক্লাসে যোগ দিতে শুরু করে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি চলে টানা দুই বছর।
২০১৬ সালে বগুড়াতে প্রথমবারের মতো চালু হয় আইসিটি ক্যারিয়ার বিষয়ক সরকারি প্রজেক্ট টিএমএসএস। কোর্সের নাম ছিল স্কিলস ফর এনপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি)। এতে সুযোগ পেয়ে ট্রেইনার হিসেবে যোগ দেন তরুণ এই ফ্রিল্যান্সার। ওই প্রজেক্টে গ্রাফিক ডিজাইনার ট্রেইনার হিসেবে দুই বছর চাকরি করেন। দিনে ট্রেইনার হিসেবে প্রজেক্টে কাজ করতেন। রাতে করতেন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিলান্সিং। দুটা করেছেন সমতালে। সেখান থেকে সফলতার সাথে প্রজেক্টের ট্রেনিং শেষ করার পর ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে অফার পান বেসিস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে (বিআইটিএম)।
চলে আসেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। সেটি শেষ করে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে যোগ দেন সরকারের ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক লানিং অ্যান্ড আনিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে (এলইডিপি)। সেখানে প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে চলে আসেন লিডস ট্রেনিং অ্যান্ড কনসাল্টিং লিমিটেডের পরিচালিত এসইআইপি প্রজেক্টে লিড গ্রাফিক ডিজাইনার ট্রেইনার হিসেবে। দেশের পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে আইটিতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে এক্সপার্ট ট্রেইনার হিসেবে তিনি ২১টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছেন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল বগুড়া নিউজ লাইভের প্রকাশক হিসেবেও কাজ করেছেন। সেসাথে দীর্ঘদিন গ্রাফিক ডিজাইনের ট্রেইনার হিসেবে কাজ করেছেন পেন্সিল বক্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেছেন ফ্রিল্যান্সার ও ফাইবার.কমে। বর্তমানে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডে (বিটিইবি) এসেসর গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন।
রায়হানুল প্রফেশনাল ট্রেইনার হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামিং, কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন, ইউআইইউএক্স ডিজাইন বিষয়ে ট্রেনিং দিয়ে থাকেন।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে তো প্রতি মাসে বেশ ভালই আয় করছিলেন। তাহলে বিভিন্ন প্রজেক্টে ট্রেইনার হিসেবে কাজ শুরু করলেন কেনো? সফল এই ফ্রিল্যান্সারের ভাষ্য, ভাই, শখে পড়ে কি আর কেউ ট্রেনিংয়ের মতো কঠিন কাজটা বেছে নেয়? মাস্টার্স পাস করার পর পরিবার থেকে যখন আমার বিয়ের জন্য কথাবার্তা চলছিল, তখন স্থানীয়ভাবে যে মেয়ে দেখতে যাই, তখনই মেয়ের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, ছেলে কী করে? তখন আমরা বলি, নিজের আইটি প্রতিষ্ঠান আছে। সেটা চালাই আর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করি। তখনও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা গ্রামের মানুষেরা ভাল মতো বুঝতেন না। তাই আবার প্রশ্ন করেন, জব করি কি-না? যখন বলি না, তখন একে একে বিয়ে ভেঙে যাচ্ছিল। শুধু বিয়ে করার জন্য চাকরিতে জয়েন করি। প্রজেক্টে ট্রেনিং দেয়া শুরু করি। শুরু হয় চাকরির জীবন। পরে বিয়ে করাটা সহজ হয়ে যায়। কেননা ছেলে ভাল বেতনে চাকরি করে।
ক্যরিয়ার জীবনে প্রফেশনাল ট্রেইনার হিসেবে তার অর্জনের ঝুলিটা অনেক ভারি। অল্প সময়ে ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রাফিক ডিজাইন ও ইউআই ডিজাইন বিষয়ে ট্রেনিং দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আপওয়ার্ক, ফাইবার ও ফ্রিল্যান্সিং.কম মার্কেটপ্লেসে সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং করছেন। তাদের সফলতার গল্পগুলি বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশ হচ্ছে।
একজন ভাল গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার জন্য প্রয়োজন গভীর মনোযোগ। কেউ যদি গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চান, তবে তাকে প্রথমে গ্রাফিকসের কাজটাকে ভালোবাসতে হবে। গ্রাফিকসের ভেতরে ঢুকতে হবে। গ্রাফিকসের সাথে মিশে যেতে হবে। বিরামহীনভাবে লেগে থাকতে হবে। প্রয়োজন সীমাহীন ধৈর্য ও অধ্যবসায়ী মন। আন্তরিক চেষ্টা আর অধ্যবসায়ের সাথে লেগে থাকলে এক বছরের মধ্যে যেকারো পক্ষে গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে উঠা সম্ভব।
দেশকে বেকার মুক্ত করার স্বপ্ন দেখেন স্বপ্নবাজ এই ফ্রিল্যান্সার। তার ভাষ্য, সরকার বেকারমুক্ত দেশ গড়তে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সেগুলি বাস্তবায়ন করছে। মেধাবী তরুণদের জন্য নানামুখী ক্যারিয়ারভিত্তিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। অনেকগুলি চলমান রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনার সফল বাস্তয়নের অন্যতম হাতিয়ার হলো আইটিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় দেশের তরুণ প্রজন্মকে আইটিতে দক্ষ করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
এ জন্য সরকার নানা ভাবে চেষ্টা করছে। সরকারের এ লক্ষ্য পূরণে আমি আমার জায়গা থেকে সাধ্য মতো মেধা ও দক্ষতা এবং পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে সরকারি, বেসরকারিভাবে যুবকদের আইটিতে ট্রেনিং দিচ্ছি। দেশের বেকার সমস্যার সমাধানে কাজ করছি। এখন এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। সে লক্ষ্য পূরণে পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাচ্ছি।