অচল হচ্ছে ২৪ কোটি কম্পিউটার

প্রকাশ: রবিবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২৫
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪  ডেস্ক
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের অক্টোবরে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের আনুষ্ঠানিক সমর্থন শেষ হতে যাচ্ছে। এই ঘোষণার পর, বিশ্বজুড়ে অন্তত ২৪ কোটি কম্পিউটার অচল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পাশাপাশি পরিবেশের জন্য নতুন এক ই-বর্জ্য সংকট তৈরি করতে পারে।

উইন্ডোজ ১০ এর সমর্থন শেষ হচ্ছে ১৪ অক্টোবর
২০২৫ সালের ১৪ অক্টোবরের পর উইন্ডোজ ১০ এর জন্য মাইক্রোসফট আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট, সফটওয়্যার হালনাগাদ কিংবা কারিগরি সহায়তা দেবে না। এর ফলে উইন্ডোজ ১০ চালিত কম্পিউটারগুলো সাইবার ঝুঁকিতে পড়বে, বিশেষ করে ব্যবসায়িক ও সরকারি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো।

উন্নত হার্ডওয়্যার ছাড়া চলবে না উইন্ডোজ ১১
মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১১ চালাতে প্রয়োজন উচ্চমানের হার্ডওয়্যার। এতে থাকতে হবে TPM 2.0 চিপ, আধুনিক প্রসেসর, ৪ জিবি র‍্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ। ২০১৬ সালের আগের বেশিরভাগ কম্পিউটার এই শর্ত পূরণ করতে পারে না, ফলে এগুলোতে উইন্ডোজ ১১ ইন্সটল করা সম্ভব নয়।

২৪ কোটি পিসির ভাগ্যে ‘বর্জ্য’ লেখা?
বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান Canalys Research ২০২৩ সালে পূর্বাভাস দেয়, উইন্ডোজ ১০ সমর্থন বন্ধ হলে প্রায় ২৪০ মিলিয়ন পিসি আর নিরাপদভাবে ব্যবহারযোগ্য থাকবে না। এই পরিমাণ পিসি বাতিল হলে বিশ্বে আনুমানিক ৪.৮ লাখ মেট্রিক টন ই-বর্জ্য যুক্ত হবে, যা প্রায় ৩.২ লাখ গাড়ির ওজনের সমান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে গড়ে ৬২ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মাত্র ২০ শতাংশ সঠিকভাবে পুনর্ব্যবহার করা হয়।

পরিবেশের জন্য হুমকি
পুরোনো কম্পিউটারগুলোতে থাকে সিসা, পারদ, ক্যাডমিয়াম এবং অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান। এইসব উপাদান যদি অবহেলায় ফেলে দেওয়া হয়, তবে তা মাটি ও পানির উৎস দূষিত করতে পারে। পোড়ালে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে বিষাক্ত গ্যাস। ফলে উইন্ডোজ ১০ বন্ধের প্রভাব শুধু প্রযুক্তি নয়, পরিবেশেও পড়বে।

ব্যবহারকারীর জন্য বিকল্প কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরোনো পিসি ফেলে না দিয়ে নিচের পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে সচল রাখা যেতে পারে-

  লিনাক্স ব্যবহার
 >>Ubuntu, Linux Mint কিংবা Zorin OS–এর মতো লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম বিনামূল্যে পাওয়া যায় এবং পুরোনো হার্ডওয়্যারে নির্বিঘ্নে চলে।

 ChromeOS Flex 
 >> গুগলের এই সিস্টেম দিয়ে পুরোনো পিসিকে হালকা ও নিরাপদ ক্লাউড-কম্পিউটারে রূপান্তর করা যায়।

 দায়িত্বশীল রিসাইক্লিং 
>> রিসাইক্লিং কেন্দ্রে জমা দিলে হার্ডওয়্যার থেকে লোহা, প্লাস্টিক, ব্যাটারি ও মূল্যবান ধাতু পুনঃব্যবহার করা যায়। অনেকে কম্পিউটার স্কুল, এনজিও বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করেও কাজে লাগাতে পারেন।


image

আপনার মতামত দিন