রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে আটটি সাব-গ্রুপ কমিটি পুনর্গঠন করেছে সরকার। প্রয়োজনীয় কার্যাবলী চিহ্নিতকরণ ও সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ওয়ার্কিং-গ্রুপকে সহায়তায় পুনর্গঠিত গ্রুপগুলোকে সাচিবিক সহায়তা দেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, একেকটি সাব-গ্রুপ কমিটিতে ৮ থেকে ১৪ জন সদস্য রয়েছেন। গ্রুপ পুনর্গঠনের সঙ্গে গ্রুপগুলোর কার্যপরিধিও নতুন করে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
পুনর্গঠিত ৮টি সাব-গ্রুপগুলো হলো- ইন্টারন্যাশনাল অবলিগেশনস, লিগ্যাল অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাসপেক্টস এবং নিউক্লিয়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি সাব-গ্রুপ; মালিকানা ইনস্টিটিউশনাল ফ্রেমওয়ার্ক সাব-গ্রুপ; নিউক্লিয়ার ফুয়েল সাইকেল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব রেডিও অ্যাকটিভ ওয়েস্ট অ্যান্ড ডিকমিশনিং সাব-গ্রুপ; ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্সেস সাব-গ্রুপ; ন্যাশনাল পার্টিসিপেশন সাব-গ্রুপ; ফাইন্যান্সিং ও ক্রয় সাব-গ্রুপ; গ্রিড সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট সাব গ্রুপ এবং ভারী যন্ত্রপাতি ট্রান্সপোর্টেশন প্ল্যানিং সাব-গ্রুপ
এদিকে সম্প্রতি রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটিতে রিঅ্যাক্টর অ্যাসেম্বলির কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রিঅ্যাক্টর অ্যাসেম্বলির কাজের মধ্যে ছিল চুল্লির ভেতরে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ স্থাপন, জ্বালানি অ্যাসেম্বলি সিম্যুলেটর লোডিং, সুরক্ষামূলক পাইপ ইউনিট এবং আপার ইউনিট এবং স্মার্ট অটোমেটেড অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেমস সেন্সর স্থাপন। পরবর্তী ধাপে রিঅ্যাক্টর প্ল্যান্টের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির পরিচালন সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য হাইড্রোলিক টেস্ট শুরু হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার কারিগরী ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকল্পটিতে দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে এবং এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর যা সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। রসাটম প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।