ওয়াটারএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালের অভ্যন্তরে শুধু নারীদের জন্য একটি নারীবান্ধব ‘পিংক টয়লেট’ পাইলট মডেল হিসেবে নির্মাণ করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আগামী দুই মাসের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে। 

এছাড়াও ‘স্মার্ট সিটি’ ধারণার অংশ হিসেবে রাজধানীবাসীর জন্য পাবলিক টয়লেটের অবস্থান সহজে খুঁজে পাওয়া এবং অন্যান্য সেবার জন্য তৈরি মোবাইল অ্যাপ ‘যাবো কোথায়’ শিগগিরই নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

জানাগেছে, পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি সংযুক্তির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে গুলশানের ড. ফজলে রাব্বি পার্ক, লাউতলা পাবলিক টয়লেট ও খিলক্ষেত রেলগেট পাবলিক টয়লেটে এরই মধ্যে বায়োলজিক্যাল সেপটিক ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। পানির অপচয় কমাতে বিভিন্ন টয়লেটে স্থপিত  কলে সেন্সর লাগানো হয়েছে। এতে কলের মুখে হাত নিতেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে পানি পড়ে এবং একাই বন্ধ হয়ে যায়।

প্রশাসক জানিয়েছেন, পাবলিক টয়লেট পরিচালনার জন্য সরকারি সংস্থা যেমন ওয়াসা, ডেসকো ও ডিপিডিসির সঙ্গে পানি ও বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে পয়োনিষ্কাশন লাইন যথেষ্ট না হওয়ায় আমরা এরই মধ্যে বায়োলজিক্যাল সেপটিক ট্যাংকের মাধ্যমে পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

অবশ্য ওয়াটার এইড বাংলাদেশ ও প্রেনিউর ল্যাব (Prenuer Lab) যৌথভাবে ঢাকায় পাবলিক টয়লেট খুঁজে বের করার জন্য "পাবলিক টয়লেট বাংলাদেশ" (Public Toilet Bangladesh) নামের একটি অ্যাপ অবমুক্ত করেছিলো ২০১৭ সালে। তবে গুগল প্লেস্টেশনে এখন সেই অ্যাপটি খুঁজে পাওয়া যায় না। এরপর ২০১৩ সালের জুলাইয়ে সবার ঢাকা অ্যাপে উত্তর সিটির ১৪০টি পাবলিক টয়লেটের লোকেশন অন্তর্ভূক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো। তবে প্লে স্টোরে থাকলেও অ্যাপটি এখন খুব একটা ব্যবহৃত হয় না। এরই মধ্যে চলতি বছরের মার্চে এটুআই থেকে হোস্ট করা এবং ওয়াটরএইড ও সফটওয়ার্কস এর ডেভেলপ করা পাবলিক টয়লেট অ্যাপটি আপডেট করা হয়।