এই প্রথম ইলেকট্রিক বাইক আনল রয়েল এনফিল্ড। ব্যাটারিচালিত এই দুই চাকার বাহনের নাম দেওয়া হয়েছে রয়েল এনফিল্ড ফ্লাইং ফ্লি সি৬। এটি প্রতিষ্ঠানটির সাব-ব্র্যান্ড। এর আওতায় আনা হয়েছে মডেলটি।
কার্যত এই সাব-ব্র্যান্ড খোলার মাধ্যমে ইলেকট্রিক বাইকের বাজারে সংস্থা নতুন যুগের সূচনা করল। সোমবার রাতে সি৬ উন্মোচনের সময় রয়্যাল এনফিল্ড তাদের আগামী ইলেকট্রিক বাইকের কথাও ঘোষণা করেছে। এটি একটি স্ক্র্যাম্বলার বাইক, যার নামও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফ্লাইং ফ্লি সি৬।
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রয়েল এনফিল্ড ফ্লাইং ফ্লি সি৬ ২০২৬-এ ভারতের বাজারে লঞ্চ করা হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত এর লঞ্চের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো হয়নি। চলুন মডেলটি সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে, তাদের রয়েল এনফিল্ড ফ্লাইং ফ্লি সি৬ শহরের রাস্তায় চলাচলের উপযুক্ত মডেল হিসাবে এসেছে। অর্থাৎ চড়াই-উৎরাই পার হওয়ার ক্ষমতা এর নেই। শহুরে রাস্তাতেই জারিজুরি দেখাতে পটু। আবার হাইওয়েতে দীর্ঘ যাত্রা করতেও এটি সক্ষম নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এখনও পর্যন্ত এর রেঞ্জ জানা যায়নি।
এই ই-বাইক একটি অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমের উপর ভিত্তি করে এসেছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি ম্যাগনেসিয়াম ব্যাটারি কেসিং। যা ব্যাটারিটিকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করবে। এটি আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
ডিজাইনের প্রসঙ্গে বললে, রয়েল এনফিল্ড ফ্লাইং ফ্লি সি৬ দেওয়া হয়েছে বোল্ড লুক এবং আগ্রাসী ডিজাইন। যা সংস্থার আইসিই মডেলগুলোতেও দেখা যায়। এতে উপস্থিত একটি গোলাকৃতি হেডলাইট, স্প্লিট সিট এবং দু’চাকায় ডিস্ক ব্রেক সহ স্টাইলিস অ্যালয় হুইল।
ব্যাটারি পরিচালিত রয়েল এনফিল্ড ফ্লাইং ফ্লি সি৬-এ দেওয়া হয়েছে ব্লুটুথ চালিত টিএফটি স্ক্রিন ক্লাস্টার, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা বাইক সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য যেমন ব্যাটারির ক্ষমতা, গতি, আরপিএম এবং সময় ও অন্যান্য বিষয়ে নজর রাখতে পারবেন। এটি স্মার্টফোনের সঙ্গেও সংযুক্ত করা যাবে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম, কর্নারিং এবিএস, নেভিগেশন এবং হোয়াটনট।
ব্যাটারি চালিত রয়েল এনফিল্ডের দাম কত হবে সে সম্পর্কে এখনো ধারণা পাওয়া যায়নি।