বাংলাদেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ সম্প্রতি “সেলার সামিট ২০২৫” সফলভাবে আয়োজন করেছে, যা ছিল তাদের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট।
রাজধানীর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ১ হাজারেরও বেশি বিক্রেতা, শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড এবং শিল্পে অগ্রগামী ব্যক্তিত্বরা। এই সম্মেলনটির থিম ছিল ‘হ্যাপি সেলিং’, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যতের উদ্ভাবনী পরিকল্পনাগুলোকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) কোম্পানিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দারাজ জানায়, বর্তমানে তারা ২০০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করছে এবং খুব শিগগিরই এই সংখ্যা ৫০০-এ উন্নীত হবে। এছাড়া, তারা ডিজিটাল মার্কেটিং-এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে একটি ‘ওয়ান-স্টপ সলিউশন’ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোকে ১ হাজার ইনফ্লুয়েন্সার ও অ্যাফিলিয়েটের সাথে যুক্ত করা হবে, যাদের সার্বিকভাবে ৫০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।
এছাড়াও, দারাজ তাদের আসন্ন মেগা ক্যাম্পেইনগুলো-৯ দশমিক ৯, ১০ দশমিক ১০ এবং ১১ দশমিক ১১ সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়, যেখানে বিক্রেতারা দ্বিগুণ বিক্রি করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনগুলো, দারাজের শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম পরিষেবা এবং দারাজ মার্কেটিং সলিউশনস (ডিএমএস)-এর মতো টুলসের সাথে মিলে বিক্রেতাদের ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করবে।
সম্মেলনে বিক্রেতা ও ব্র্যান্ড পার্টনারদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে সম্মান জানানো হয়। বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে পুরস্কৃতদের মধ্যে ছিল, ডেটল- ‘সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ লটো, হেয়ার, রিয়েলমি- প্লাটিনাম, গোল্ড এবং সিলভার ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড, টেটন এবং ওয়েলেসিয়া- ‘ডিএমএস সুপারস্টার অ্যাওয়ার্ড’ এবং বর্ষসেরা নারী উদ্যোক্তা, শপ্রোবিডি- ‘বেস্ট চয়েস সেলার অ্যাওয়ার্ড’, ইউনিলিভার- ‘বেস্ট চয়েস ব্র্যান্ড পার্টনার’, টিভি হাট, নিউ উদয় ইলেকট্রনিক্স, ফার্নিচার প্লাস- ‘মার্কেটপ্লেস লিডার অ্যাওয়ার্ড’।
ই-ক্যাবের প্রশাসক মুহাম্মদ সাঈদ আলী বলেন, “দারাজ বাংলাদেশের ডিজিটাল কমার্সের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম তৈরি করছে। এটি বিক্রেতা, ব্র্যান্ড এবং এসএমই-দের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের অনলাইন অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখছে।”
দারাজ বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ই বলেন, “আমরা আলিবাবা ইকোসিস্টেমের ২০ বছরের ই-কমার্স দক্ষতা দিয়ে ক্রমাগত গ্রাহক, ব্র্যান্ড এবং বিক্রেতাদের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করছি। প্রযুক্তি, লজিস্টিকস এবং মার্কেটিং সলিউশনসে চলমান বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা আরও বড় প্রবৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে দারাজ তাদের লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করে, যা বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ড অংশীদারদের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।
এই সেলার সামিট ২০২৫ কেবল অতীতের অর্জন উদযাপন করেনি, বরং ভবিষ্যতের সফল সহযোগিতার পথও তৈরি করেছে, যা বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতকে আরও শক্তিশালী করবে।