পডকাস্ট হচ্ছে এক ধরনের অডিও কন্টেন্ট, যা মোবাইল বা কম্পিউটার ডিভাইসে ধারণ করে যেকোন সময় বা যেকোন পরিস্থিতিতে শোনা যায়। একে এখন নানা পেশাদার কাজে লাগানো সম্ভব।
ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ গ্রুপের নতুনদের মধ্যে অনেকেই পডকাস্ট সম্পর্কে জেনে গেছেন। এটি কিভাবে বানাবেন তাও আশা করি, ব্লগ পড়ে আপনারা জেনেছেন।
নতুন অনেকেই মোবাইল দিয়ে পডকাস্ট বানাচ্ছেন। সবাই অনেক ভালো করছেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে, আপনারাও শিখে এগিয়ে যাচ্ছেন।
আজ আপনাদের সাথে পডকাস্ট তৈরির আমার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
>>আপনারা যারা পডকাস্ট করছেন, তারা কি ভয়েস রেকর্ড করে বারে বারে শোনেন? আপনাকে অবশ্যই আপনার রেকর্ডিংটা বারে বারে শুনতে হবে।
>> খেয়াল করে দেখবেন, কোথাও আপনার শ্বাস নেয়ার শব্দ শোনা যাচ্ছে কি না। গেলে সেটা অবশ্যই ঠিক করতে হবে। কারণ প্রফেশনাল পর্যায়ে এই ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
>> এখন প্রশ্ন হতে পারে- কথা রেকর্ড করতে গেলে শ্বাস তো নিতেই হবে। তাহলে শব্দ কিভাবে দূর হবে?
>> সাধারণত সাউন্ড এডিট করালে এই শব্দ চলে যায়, থাকে না। কিন্তু ভালো পডকাস্টার যারা তারা রেকর্ডিং করার সময়ই সতর্ক থাকেন। তারা শ্বাস-প্রস্বাস নেন, বিরাম চিহ্ন অনুযায়ী, নাক দিয়ে, মুখ দিয়ে নয়। এতে করে রেকর্ডার এ সেই শব্দ পৌঁছায় না।
আর তারা মাইক একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখেন। রেকর্ড করার সময় ভাবেন, যে খুব কাছের কারো সাথে কথা বলছেন। এতে অভিব্যাক্তি সুন্দর হয়।
আপনারাও এই নিয়মে করে দেখুন। আপনাদের পডকাস্টের মান আরও অনেক উন্নত হবে। এভাবে করতে গেলে প্রথম প্রথম অনেক কষ্ট হয়। পরে অভ্যাস হয়ে যায়।
সাউন্ড এডিটর যারা, তারা প্রতি লাইনে লাইনে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রভাব ঠিক করতে খুব বিরক্ত বোধ করেন। কারণ, ২০/২৫ মিনিটের একটি রেকর্ডিংয়ে অনেক জায়গায় তাদের এই কাজ করতে হয়।
এই যে অভিজ্ঞতাটি আমি গ্রুপে শেয়ার করলাম, তা কিছু ব্লগ পড়ে পডকাস্ট এডিট করতে গিয়ে আমি শিখেছি।
যারা জানতে চান, পডকাস্ট করে আমার কি লাভ, তারা বুঝবেন কি না, জানি না। তবে এটা আমার অনেক বড় লাভ। পডকাস্টের কারণে আমি অডাসিটি পারি। এর মাধ্যমে আমি অনেক ভালো সাউন্ড এডিট করতে পারি। যা আমার বিজনেস প্রেজেন্টেশন এ কাজে লাগে।
লেখক: সোনিয়া সোহানা সিমি, উদ্যোক্তা, কন্টেন্ট রাইটার, ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ গ্রুপ