২০০৫ সাল। বসুন্ধরা সিটির ভেতর জমজমাট এক আয়োজন। কম্পিউটার সোর্সের হাত ধরে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ওয়ার্ল্ড সাইবার গেমস (ডব্লিউসিজি)-এর জাতীয় কোয়ালিফায়ার। সেখান থেকেই শুরু হয় দেশের গেমিং ইতিহাসের নতুন অধ্যায়।
২০০৮ সালে জার্মানির কোলোনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে টিম এক্সট্রিম লুঙ্গিজ, আর ২০১০ সালে আরাফাত জানিন এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বমঞ্চে জানান দেন আমাদের উপস্থিতি। এরপর কেটে গেছে এক যুগেরও বেশি সময়। কিন্তু সেই সূচনার ইতিহাস আজও অনুপ্রেরণার নাম।
দেড় দশক বিরতির পর ফের বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে বৈশ্বিক ই-স্পোর্টস জগতের প্রতিযোগিতা ওয়ার্ল্ড সাইবার গেমস (ডব্লিউসিজি)। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় আগামী ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ডব্লিউসিজি গ্লোবাল ক্রিয়েটর ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এ প্রথমবারের মতো অংশ নেবে বাংলাদেশি গেমিং ক্রিয়েটর ও ডিজিটাল ইনফ্লুয়েন্সার দল।
ই-স্পোর্টস বাংলাদেশ এর অংশীদারিত্বে এই প্রত্যাবর্তন নিয়ে ডব্লিউসিজির পরিচালক কিয়ংজুন কিম জানিয়েছেন, এই অংশীদারত্ব শুধু একটি ব্যবসায়িক সুযোগ নয়, এটি ভবিষ্যতের বিনিয়োগ। বাংলাদেশ থেকে যে প্রতিভা ও সম্ভাবনা উঠে আসছে, তা অনন্য।
ই-স্পোর্টস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুমিত সাহা জানান, ২০১০ সালে একজন খেলোয়াড় হিসেবে ডব্লিউসিজি অংশগ্রহণ করেন তিনি। এরপর ২০১২ সালে সংগঠক হিসেবে যুক্ত হন। এবার ডব্লিউসিজিকে অফিশিয়ালি বাংলাদেশে আনলেন। এটি শুধু ফিরে আসা নয়, এটি এক নতুন সূচনা। এবার আমাদের দেশের ক্রিয়েটররা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইতিহাস গড়বে বলে প্রত্যাশা তার।