বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সারাফ নাওয়ার আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড জয়

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png নিজস্ব প্রতিবেদক
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্থাপত্য প্রতিযোগিতা ‘দ্য ইন্সপাইরেলি অ্যাওয়ার্ডস’-এর নবম আসরে  অ্যাওয়ার্ড জিতেছে বাংলাদেশের মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থী সারাফ নাওয়ার।

৮৫টি দেশের ৯২১টিরও বেশি নিবন্ধিত প্রকল্পের মধ্যে সারাফ নাওয়ার প্রতিযোগিতা উত্তীর্ণ হয়ে এ পুরস্কার পান। সারাফ নাওয়ার প্রথম বাংলাদেশী, যিনি আর্কিটেকচার বিভাগে এই অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছেন।

সারাফ নাওয়ারের প্রকল্পের শিরোনাম ছিলো, ‘টেল অব অ্যান ওশান: সোনাদিয়া ওশেনারিয়াম কমপ্লেক্স’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সোনাদিয়া দ্বীপে একটি টেকসই সমুদ্রঘর তৈরির উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করা জয়। চ্যালেঞ্জিং জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবেলায় উন্নয়নের সাথে সংরক্ষণের ভারসাম্য বজায় রাখার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিনি এই প্রকল্পটিতে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকার জন্য টেকসই ও কার্যকর এনার্জি সমাধান নিয়ে কাজ করেছেন।

তার প্রকল্পের আইডিয়া ভূয়সী প্রসংশা কুড়িয়েছে এবং আর্কিটেকচার বিভাগের বিচারক মার্টিন ভুদাস্কো এই প্রকল্পকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার জন্য উপযুক্ত সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন।

দ্য ইন্সপাইরেলি অ্যাওয়ার্ডস আর্কিটেকচারসহ আরও ৩টি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতোকত্তর শিক্ষার্থীদের তাদের অনন্য কাজের জন্য অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়, যেখানে এবছর প্রতিযোগিতা করেছেন ৮৭টি দেশের ১১৭৪ জন্য প্রতিযোগী।

জয়ী নাওয়ারের প্রজেক্টটি ছিলো বাংলাদেশের সোনাদিয়া দ্বীপে একটি ওশেনারিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনার রূপরেখা। সোনাদিয়া দ্বীপ,  যা বাংলাদেশের সুক্ষ্ম ইকোসিস্টেমের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেখানে রয়েছে ম্যানগ্রোভ বন, জোয়ারের ঢেউ , আরো আছে ভৌগলিক নানান চ্যালেঞ্জ।

তিনি সব কিছু বিবেচনা করে বঙ্গোপসাগর এবং ম্যানগ্রোভ বনগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্নতা রেখেই প্রজেক্টের ডিজাইন করেছিলেন। কি নেই সে ডিজাইনে! ডিজাইনে রয়েছে লবণাক্ত পানির অ্যাকোয়ারিয়াম, মিঠা পানির অ্যাকোয়ারিয়াম। আছে ডলফিনারিয়াম। এছাড়াও আছে একটা ওশেন হেরিটেজ মিউজিয়াম ।

সোনাদিয়া দ্বীপের পারিপার্শ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ, যেমন, লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড় এবং মিঠা পানির ঘাটতি মোকাবিলা করতে তিনি আবিষ্কার করেছেন মডিউলার। যাতে ব্যবহৃত হবে টেকসই উপকরণ এবং ওজনেও হালকা।

এছাড়াও তার ডিজাইনে রয়েছে একটি সৌর শক্তি চালিত পানিশোধন ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা। সব থেকে বড় কথা তার ডিজাইনটি পুরোপুরি ইকোফ্রেন্ডলি।

যদিও দ্বীপের সকল চ্যালেঞ্জগুলো মাথায় রেখে পরিবেশগতভাবে টেকসই এবং স্ট্রাকচারাল ভাবে আকর্ষণীয় একটা ডিজাইন তৈরি করা ছিলো তার জন্যেও অনেকটা চ্যালেঞ্জিং। 

আপনার মতামত দিন