বাংলাদেশের উদীয়মান প্রযুক্তি মেধাবীদের আন্তর্জাতিক পরিসরে উপস্থাপনের লক্ষ্যে হুয়াওয়ে প্রতিবছর আয়োজন করে থাকে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রোগ্রাম। ২০২৫ সালের জন্য নির্বাচিত আটজন প্রতিভাবান শিক্ষার্থীর চীন সফর ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ১০ দিনব্যাপী এ সফরে তাঁরা হুয়াওয়ে’র বিভিন্ন প্রযুক্তি ল্যাব, গবেষণা কেন্দ্র এবং সাংস্কৃতিক স্থান পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন। অংশগ্রহণকারীরা দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
১০ দিনব্যাপী এই সফরে আছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের সায়েদ আতিফ রায়হান, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফারিসা জায়নাহ জামান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নাফিম করিম খান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বুয়েট) মো. রেজওয়ান উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসনিয়া ইফফাত, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (রুয়েট) মো. সাফিউস সিফাত ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির নুফসাত ফারুক এবং ওয়াসিফ উদ্দিন।
সফরে ডিজিটাল ট্যালেন্ট সামিটে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ফাইভ-জি, এআই, আইওটি ও স্মার্ট সিটির উপর প্রশিক্ষণ নেবেন এবং সামাজিক যোগাযোগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন শিক্ষার্থীরা।
১৭ আগস্ট, রবিবার হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বিজয়ীরা এই পর্যায়ে অংশ নিচ্ছেন যেখানে তারা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সম্পর্কে জানতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ডিজিটাল ট্যালেন্ট সামিটে শিল্পখাতের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়েরও সুযোগ পাবেন তারা। ফলে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও বর্তমান বিশ্ব সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের আইসিটি খাতকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তার প্রস্তুত হবেন।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস তানভীর আহমেদ বলেন, “এ পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশে ১২তম বারের মতো ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রোগ্রামের আয়োজন করেছি। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং দেশে-বিদেশে আইসিটি ও টেলিকম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের এক অনন্য সুযোগ। এমন একটি বৈশ্বিক আয়োজনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের অংশগ্রহণ ও পারফরমেন্সের মাধ্যমে নিজস্ব একটি অবস্থান তৈরি করেছে। এই প্রোগ্রামে তারা অন্যদের সাথে নেটওয়ার্কিংয়ের দারুণ সুযোগও পেয়ে থাকেন। আমরা বিশ্বাস করি, এবছরের বিজয়ীরা আয়োজনের প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের আরও দক্ষ করে তুলবেন এবং বাংলাদেশের আইসিটি যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।”
এ বছর প্রায় ৩,০০০ আবেদন থেকে ইন্টারভিউ, লিখিত পরীক্ষা, সাবলীল উপস্থাপনা - এমন অনেক যাচাই-বাছাই শেষে এই আটজন শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশ বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রোগ্রাম উল্লেখযোগ্য প্রভাব রেখেছে। ১৪১টি দেশের ১৮,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী এই আয়োজনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সঙ্গে প্রোগ্রামটির ৫০০-এরও বেশি যৌথ কার্যক্রম রয়েছে।