জিপি কর্মীদের চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে রাজধানীতে তিন দিনের সমাবেশ

প্রকাশ: সোমবার, ০৬ জানুয়ারি, ২০২৫
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪ রিপোর্ট
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত
কাজে পুনর্বহাল এবং পূর্ণ আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে তিন দফা দাবিতে তিনদিনের প্রতিকী অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের কর্মচ্যুত কর্মীরা। 

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রবেশ পথে বারিধারাস্থ জিপি হাউসের সামনে রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

প্রথম দিনের শ্রমিক সমাবেশে শতাধিক কর্মচ্যুত গ্রামীণ ফোন কর্মী ও তাদের সন্তনেরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে থেকে ‘অবৈধভাবে’ চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনরবহাল, সকল প্রকার আইনি পাওনা পরিশোধ এবং শ্রমিক নির্যাতনে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

তাদের দাবি, গ্রামীণফোন, বাংলাদেশের অন্যতম লাভজনক প্রতিষ্ঠান, দীর্ঘদিন ধরে শ্রম আইন লঙ্ঘন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি তথাকথিত স্বেচ্ছায় অবসর ও মিথ্যা অভিযোগের নামে ৩,৩০০ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করেছে এবং শ্রমিকের পাওনা লভ্যাংশের বিলম্ব জরিমানা ও ন্যায্য পাওনা পরিশোধে অবহেলা করে চলেছে। তাছাড়া চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর কতিপয় কর্মকর্তা ও আওয়ামী মদ’পুষ্ট ইউনিয়ন নেতারা অনৈতিক ও অমানবিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেছে। ফলে বিগত ২ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ‘চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।

সমাবেশে গ্রামীণফোনের টেরিটোরি ম্যানেজার মো. মনোয়ার পারভেজ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. জাকির হোসেন চৌধুরী জ্বালাময়ী ও আবেগী বক্তব্য দেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিগত সরকারের ফ্যাসিস্ট রীতি অনুযায়ী হাসপাতালে থাকা অবস্থায়ও কর্মীরে ছাঁটাই করা হয়েছে।

কর্মসূচীতে শ্রমিক নেতারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় না মেনে ও হীন-স্বার্থে পুনরায় মামলা করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। দেশবাসীর কাছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রামীণফোন প্রচার করছে তারা দেশের সমাজে অর্থনীতিতে ও জনকল্যাণে মহান ভূমিকা রেখে চলেছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিতাড়িত ফ্যাসিস্ত সরকারের সময়ে প্রায় ৩৩০০ স্থায়ী শ্রমিককে নানা কৌশলে চাকরিচ্যুত করেছে।

এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছে চিহ্নিত স্বৈরাচারের দালাল যথা তারানা হালিম, ফজলে নুর তাপস, মোস্তাফা জব্বার, জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ। দেশের আইনকে নগ্ন ভাবে হস্তক্ষেপ করে লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হয়েও ৩৩০০ পরিবারকে অনিশ্চিত জীবনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এই অন্যায্য ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিচারের জন্য তারা সরকারকে তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানান। কর্মসূচি শেষে বক্তারা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
image

আপনার মতামত দিন