জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারীদের অপসারণ চায় বেসিস সংস্কার পরিষদ

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
Image টেকভয়েস২৪ রিপোর্ট
news-banner
  ছবি: সংগৃহীত
জুলাই আন্দোলনের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারীদের অবিলম্বে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) নেতৃত্ব থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে বেসিস সংস্কার পরিষদ।
 

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় নিরপেক্ষভাবে বর্তমান সদস্যদের প্রকৃত যোগ্যতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা পূর্বক ভুয়া সদস্যদের সদস্যপদ বাতিলেরও দাবি জানানো হয়।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেসিস সংস্কার পরিষদের  মুখপাত্র ফৌজিয়া নিগার সুলতানা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো বেসিসে বীরদর্পে অপকর্ম করেই যাচ্ছে। বেসিসের বর্তমান এক্সিকিউটিভ কমিটির (ইসি) অনেক সদস্যের দুর্নীতি ও অপকর্মের সংবাদ মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোতে অনেকবার প্রকাশিত হলেও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলে সক্রিয় রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বিতর্কিত বেসিস নির্বাচনে সবকটি প্যানেলই সজীব ওয়াজেদ জয়, সালমান এফ রহমান ও জুনাইদ আহমেদ পলকের ইচ্ছানুসারে স্বেচ্ছাচারী পন্থায় চাপানো ছিল। এ ছাড়া অভিযোগ আছে, এসব নির্বাচনে প্রায় সকল প্যানেলই সরকারের মদদপুষ্ট ছিল, যারা বিভিন্ন পার্টি ও ইভেন্টের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করে, যা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দুর্নীতি ঢাকতে নির্বাচনের আগে অবৈধ পন্থায় অডিটর বদল করা হয়েছে। এমনকি বেসিসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে অভিযোগ মুছে দেওয়া, ক্লোজড গ্রুপে পোষ্ট এপ্রুভাল সিস্টেম চালু করা এবং সমালোচনামুলক পোষ্ট এপ্রুভ না করা/দেরি করার অভিযোগ আছে। নির্বাহী কমিটির বাইরে বেসিস স্টাফদের দিয়ে এসব অপকর্ম করানোর অভিযোগও আছে, যা সদস্যদের জন্য অসম্মানজনক।’

সংবাদ সম্মেলনে দাবি তুলে ধরে ফৌজিয়া নিগার সুলতানা বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে যে সকল সদস্য ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সদস্যপদ নবায়ন করতে পারেননি তাদের ব্যবসায় ফিরে আসতে সার্বিক সহায়তা করতে হবে। প্রেসিডেন্টস ফোরাম নামক স্বেচ্ছাচারী প্ল্যাটফর্মের অবসান করতে হবে। বেসিস গঠনতন্ত্র পুনর্গঠন করে এতে বিদ্যমান সুস্পষ্ট বৈষম্য দূর করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি নিরপেক্ষ সংস্কার কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে বেসিসের বিদ্যমান সমস্যাগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে। ছাত্রদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে পাওয়া নতুন বাংলাদেশে ছাত্র-তরুণদের গুরুত্ব দিতে বেসিসের বর্তমান স্টুডেন্ট বডিকে প্রকৃত অর্থে সক্রিয় করতে হবে, যেন তারা উদ্যোক্তা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে বা প্রযুক্তিবিদ হিসেবে এই শিল্পে নেতৃত্ব দিতে পারে। ইসি সদস্যদের একমাত্র কাজ সদস্যদের স্বার্থ দেখা, ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য কারো পক্ষে কাজ করা নয়। সংশোধিত গঠনতন্ত্রে এটি নিশ্চিত করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, এইচআরএসওএফটিবিডি’র সিইও এ এইচ এম রোকনুজ্জামান রনি, মো. মিজানুর রহমান ও মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
image

আপনার মতামত দিন