মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ জনের ৯ জনই এআইয়ে অভ্যস্ত: টেলিনর এশিয়া

প্রকাশ: বুধবার, ০৭ মে, ২০২৫
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png নিজস্ব প্রতিবেদক
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে সবেমাত্র আগ্রহী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। এ প্রযুক্তিতে খাপ খাইয়ে নিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে। অথচ দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রতি ১০ জনের ৯ জনই মোবাইল ফোনে এআই টুলস ব্যবহার করছেন। তাছাড়া ভবিষ্যতে শিক্ষাখাতে এআইর প্রভাব নিয়ে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক।

টেলিনর এশিয়ার জরিপ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (৭ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড (বাংলাদেশ)’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানে জেনে বুঝে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক।

তিনি বলেছেন, এ আই ব্যবহার তা জেনে বুঝে করতে হবে। এজন্য একটি গাইডলাইন করার প্রস্তুত করা দরকার। ডিজিটাল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষ করে তোলা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির পূর্বশর্ত হচ্ছে মোবাইল সংযোগ। মানুষের হাতে সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তারা যেন নিরাপদে ও দায়িত্বশীল হয়ে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করেন সে দিকটি নিশ্চিত করাটা আমাদের সম্মিলিত অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আমরা যৌথ প্রচেষ্টায় ডিজিটাল সংযোগের সম্প্রসারণ এবং আরও স্মার্ট ও নিরাপদ ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে পারি।

টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব এক্সটার্নাল রিলেশনস অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি মনীষা ডোগরা বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে রূপান্তর ঘটাতে এবং বিপ্লব আনতে সহায়ক মোবাইল প্রযুক্তি, যে প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহযোগে হয়েছে আরও সমৃদ্ধ। টেলিনর এশিয়া, গ্রামীণফোনের সাথে একসাথে, বাংলাদেশে মোবাইল সংযোগের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করতে পেরে গর্বিত। আমরা আনন্দিত যে, মোবাইল প্রযুক্তি দেশজুড়ে আরও মানসম্মত ডিজিটাল জীবনধারার বিকাশ ঘটিয়েছে, যেমনটি জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মতামতের ভিত্তিতে দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, এই পরিবর্তিত ডিজিটাল পরিমণ্ডলে ডিজিটাল সেবাকে আরো সমৃদ্ধ করা এবং ডিজিটাল লিটারেসিকে আরো এগিয়ে নেয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এআই-ভিত্তিক ডিজিটাল দক্ষতার বিকাশ এবং অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এই সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব। বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রার পাশে থাকতে এবং সবার কাছে মোবাইল প্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দিতে সংকল্পবদ্ধ টেলিনর এশিয়া।

গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে সংযোগের রূপান্তরকারী শক্তি এবং অগ্রগতির জন্য এর অপরিসীম সম্ভাবনাও স্পষ্ট হচ্ছে। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে আমরা জিপি একাডেমি, জিপি অ্যাক্সিলারেটর ও ফিউচার নেশনের মতো উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতা প্রদান এবং অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করছি। মানুষ যেন ডিজিটাল পরিমণ্ডলে নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে বিচরণ করতে পারেন এজন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার প্রদান এবং প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহারের ক্ষেত্রে উচ্চ মান নিশ্চিত করতে হবে।

 তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে বিপুল পরিমাণ ডেটা রয়েছে। এর সুরক্ষায় সরবোচ্চ গুরৃত্ব দিচ্ছ গ্রামীণ ফোন।
image

আপনার মতামত দিন