২০২৪ সালের শেষের দিকে কোম্পানিগুলোর সম্মিলিতভাবে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের মূল্য কমেছিল। ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। তবে শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করায় বিনিয়োগকারীদের এই ব্যয়বহুল স্টকগুলো আবার কিনতে সাহায্য করেছে।

" রানিং পয়েন্ট ক্যাপিটালের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মাইকেল অ্যাশলে শুলম্যান বলেন, "এই বিরতি আশা করা যায় যে সিএফও এবং সিওওদের এআই-সম্পর্কিত সম্প্রসারণ পরিকল্পনাগুলো এগিয়ে নেওয়ার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের সুযোগ করে দেবে, যা বাণিজ্য ঘর্ষণের কারণে স্থগিত রাখা হতে পারে, বিশেষ করে এআই চিপ আমদানি এবং বিশেষায়িত হার্ডওয়্যার - উদাহরণস্বরূপ তাইওয়ান বা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে - শুল্ক ঝুঁকির সম্মুখীন হওয়ার কারণে, যা তহবিল এবং পারিবারিক ক্লায়েন্টদের মাধ্যমে ম্যাগ ৭ স্টকগুলোতে এক্সপোজার করে।

‘বিগ টেকের এআই উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য বিশাল মূলধন বিনিয়োগ, আন্তঃসীমান্ত প্রতিভা এবং জটিল হার্ডওয়্যার নির্ভরতা প্রয়োজ ’, উল্লেখ করে  শুলম্যান বলেন, যে বাজেট সিদ্ধান্ত থেকে অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য শুল্কের উপর স্পষ্টতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং যদিও বিরতি কোম্পানিগুলোকে কৌশলগত পরিকল্পনা পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেবে, তবুও দৃষ্টিভঙ্গি এখনও অস্পষ্ট ছিল।

বাজারের উত্তালতার পাশাপাশি, ট্যারিফগুলো টেক জায়ান্টদের দ্বারা প্রদত্ত এআই-চালিত সরঞ্জাম এবং পরিষেবাগুলোতে ব্যবসার ব্যয়ের উপর একটি ধাক্কা দিয়েছে। এই মাসের শেষের দিকে ব্যবসাগুলো যখন ত্রৈমাসিক ফলাফল রিপোর্ট করবে তখন ওয়াল স্ট্রিট বাজেট এবং ব্যয়গুলো পরীক্ষা করবে।

বুধবার অ্যালফাবেট পুনর্ব্যক্ত করেছে যে তারা ডেটা সেন্টারের ক্ষমতা তৈরিতে এই বছর প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে, অন্যদিকে মাইক্রোসফ্ট জানিয়েছে যে তারা তার ডেটাসেন্টার অবকাঠামো বিকাশে বিলিয়ন ব্যয় করার পথে রয়েছে।

"এই বিনিয়োগগুলি নিকট-মেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী চাহিদার সংকেত দ্বারা পরিচালিত হয়," মঙ্গলবার মাইক্রোসফ্ট জানিয়েছে।

ট্রাম্প বুধবার বলেছেন যে তিনি তার অনেক নতুন শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখবেন, যদিও তিনি চীন থেকে আমদানিতে আরও সেগুলো বাড়িয়েছেন। কয়েক ডজন বাণিজ্যিক অংশীদার থেকে আমদানিতে নতুন করে তীব্র শুল্ক আরোপের ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে তার আকস্মিক পরিবর্তন এসেছে।

তিনি বলেছেন, তিনি মধ্যরাতে কার্যকর হওয়া ১০৪% স্তর থেকে চীনা আমদানির উপর শুল্ক ১২৫% এ উন্নীত করবেন। একই সাথে, তিনি বলেছেন যে তিনি অন্যান্য দেশের উপরও তার নতুন লক্ষ্যবস্তু শুল্কের সাপেক্ষে এগুলি কমিয়ে আনবেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত টেক জায়ান্টদের শেয়ারদর বাড়াতে সহায়তা করলেও প্রযুক্তি খাতে পুরোপুরি আস্থা ফিরে আসতে আরও সময় লাগবে। বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষায় আছেন আসন্ন ত্রৈমাসিক আয় প্রতিবেদনগুলোর, যেখানে বোঝা যাবে ট্রাম্পের শুল্কনীতিগুলোর প্রভাব আসলে কতটুকু পড়েছে। সূত্র : রয়টার্স।