তরুণদের কর্মসংস্থানের নামে বিপুল অর্থের অপচয় ও আত্মসাৎ

প্রকাশ: রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪
Image নিজস্ব প্রতিবেদক
news-banner
  ছবি: সংগৃহীত
দেশের তরুণ সমাজ তথ্যপ্রযুক্তির মধ্য দিয়েই বেড়ে উঠছে। তারা ‘ডিজিটাল টুল’ দিয়ে এরই মধ্যে একটা বিপ্লবও করে ফেলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তরুণদের ডিজিটাল সাক্ষরতা শেখানোর কথা তোলাটা অবান্তর। কিন্তু এ দেশে ডিজিটাল সাক্ষরতা শেখানো কিংবা তরুণদের কর্মসংস্থানের নামে বিপুল অর্থের অপচয় ও আত্মসাৎ হয়েছে।

এদেশে নারী ও যুবদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে সরকারের পদক্ষেপে পরিবর্তন আনতে হবে। পদক্ষেপ নিতে হবে নানা মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে। গ্রাম ও শহরের পার্থক্য, বয়স ও দক্ষতার ভিন্নতা-এ ধরনের বিষয় মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে।


রাজধানীতে রবিবার ‘নারী ও যুবদের ক্ষমতায়নে প্রযুক্তির ব্যবহার: আমাদের প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ অভিমত তুলে ধরেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও বণিক বার্তা যৌথভাবে এ বৈঠক আয়োজন করে। বৈঠক হয় কারওয়ান বাজারে বিডিবিএল ভবনে; বণিক বার্তার প্রধান কার্যালয়ে।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একটা দেশের জন্মের ৫৫ বছরে এসে এ নিয়ে আবার আমাদের আলোচনা করতে হচ্ছে। আমরা সুপার হাইওয়েতে উঠে গেছি। কিন্তু এর সঙ্গে আপডেটেড যেসব ভার্সন আছে, সেগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছি কিনা; ডিজিটাল বিভাজনকে কমাতে পারছি কিনা, সেটা ভাবতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ইনফো সরকার-১ ও ২ পর্যন্ত মোটামুটি ঠিক ছিল, কিন্তু ৩-এ এসে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এখানে যুক্ত করা হয়েছে ফাইবার অ্যাট হোম ও সামিটকে। এদের অবকাঠামো নির্মাণের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ফলে ১ টাকার কাজ ৫ টাকায়ও হয়নি।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে ইন্টারনেটের মাথাপিছু ব্যবহার হয় ৫৫৫ কেপিবিএস আর বাংলাদেশের হচ্ছে দশমিক ৫ কেপিবিএস। এটাই হচ্ছে ডিজিটাল পার্থক্য। এটা আমাদের কমাতেই হবে। সমস্যাটা হচ্ছে প্রযুক্তি খাতে আমরা পেশাদারত্বকে কম গুরুত্ব দিয়ে রাজনৈতিকীকরণকে গুরুত্ব দিচ্ছি। সরকারের যারা কাজ করতে চায়, তাদের পেশাদারত্বের সুযোগটুকু দিতে হবে। যুবকদের এখানে সংযুক্ত করতে হবে। আমাদের দরকার হচ্ছে যুবদের প্রয়োজনীয়তা পর্যালাচনা করা। তারা কী চায় সেটা দেখা।’

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বছরে প্রায় তিন লাখ লোককে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আনি। অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় আসে আরো এক-দুই লাখ। আমাদের চলমান অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর তিন লাখ করে তিন বছরে নয় লাখ লোককে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসছি। এর বাইরে আর্নের (ইকোনমিক অ্যাকসিলারেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ফর নিট) মাধ্যমে নয় লাখ যুব নারী ও যুবককে প্রশিক্ষিত করা হবে। অর্থাৎ ১ কোটি ৮২ লাখের মধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রায় ২০ লাখ লোককে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসছে। তবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে সমগ্র জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে।’

বিডিজবস ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘ডিজিটাল সাক্ষরতা নিয়ে অনেক কথা হয়। আমাদের যুবকরা তথ্যপ্রযুক্তির মধ্যেই বেড়ে উঠছে। তাদের যখন ডিজিটাল সাক্ষরতা শেখানোর কথা বলা হয়, এর থেকে বড় ভ্রম আর কিছু হতে পারে না। আমাদের যুবকরা ডিজিটাল টুল দিয়ে পুরো একটা বিপ্লব করে ফেলল, আর আমরা এখন তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার শেখাব, এ জিনিসটা আমরা চিন্তা না করি। ডিজিটাল সাক্ষরতা শেখানোর নামে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করার কোনো মানে হয় না।’

ফাহিম মাশরুরের মতে, ‘এখানে সমস্যাটা হচ্ছে ডিজিটাল ব্যাপারগুলো ব্যবহার হচ্ছে অর্থনীতির অনুৎপাদনশীল খাত ও ধ্বংসাত্মক কাজে। যুবকরা অনলাইন বেটিংয়ে জড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। সরকার এটা পুলিশ দিয়ে বন্ধ করতে চেয়েছিল, এটা কখনই সম্ভব নয়। আমাদের প্রস্তাব হলো টাকাগুলো যেহেতু মোবাইল ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে, ফলে বিএফআইইউ চাইলেই এগুলো বন্ধ করতে পারে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, ‘সরকার আগামী ২০ বছর পর যুবকদের কোথায় দেখতে চায়, এ দর্শনটা পরিষ্কার থাকা জরুরি। এটা পরিষ্কার না থাকলে এখানে যতই ইনপুট দেয়া হোক না কেন, কোনো ফল আসবে না। উবার ও পাঠাওয়ের মতো রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো যখন বাজারে এল, সেখানে সরকার কোনো নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি। সরকার হুট করে সেখানে ভ্যাট বসিয়ে দিল। ফলে তারা যাত্রীর অ্যাপকল কেটে দিয়ে ম্যানুয়ালি ভাড়া নিচ্ছে। এখানে নতুন কিছু এলে সরকার বুঝতে পারে না যে কী করা উচিত। তখন তরুণদের সঙ্গে সরকারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।’

শাশা ডেনিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর পরিচালক শামস্ মাহমুদ বলেন, ‘প্রযুক্তি আমাদের এখানে অনেক সুযোগ এনে দিয়েছে। কভিডের সময় আমাদের এখানে অনেক নারী কর্মী গার্মেন্টের চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যায়। কেউ খামার করেছে, কেউ বুটিক করেছে। তাদের জন্য মাইক্রো বিজনেস পরিচালনার জন্য একটা প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এটা তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করত। কিন্তু তাদের জন্য সে সুযোগ নেই।’

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাপস কুমার পাল বলেন, ‘অর্থনৈতিক মুক্তি, কর্মসংস্থান তৈরি ও রাজস্ব সৃষ্টির অনেক জায়গা আছে। আউটসোর্সিং একটা বড় জায়গা। এটা নিয়ে আমাদের আনুষ্ঠানিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিবিএস এখানে কাজ করতে পারে। এটাকে সরকার কীভাবে জিডিপির আওতায় নিয়ে আসতে পারে এবং আরো সম্ভাবনার দিকে কীভাবে যেতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের ভাবা দরকার। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে আমরা দেখি, আমাদের ৩০ শতাংশ অর্থনীতি এখনো জিডিপিতে দেখা যায় না। মূল বিষয় হচ্ছে অনানুষ্ঠনিক ক্রিয়াকলাপগুলোকে আনুষ্ঠনিক করা দরকার। এছাড়া আমাদের শিক্ষিত বেকারদের কীভাবে কর্মসংস্থানের আওতায় নিয়ে আসা যায়, সেটা নিয়েও এখন আলোচনা করা জরুরি।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ মুবাশ্বেরা বলেন, ‘প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতে মেয়েরা আসতে অনাগ্রহ বোধ করেন। আমাদের সমাজে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে, মেয়েরা প্রকৌশল বিদ্যায় ভালো করতে পারেন না। ফলে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের চেয়ে কম। এখানে জেন্ডার রোলের ভূমিকা আছে। মা-বাবা ও অভিভাবকরা এ ধরনের চিন্তা সন্তানদের মধ্যে দিয়ে থাকেন। আমরা যারা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি, তাদের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের কর্মপরিধি সমাজের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে এ ধারণা ভেঙে দিতে হবে।’

পাঠাও লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেটে খরচ অনেক বেশি এবং গুণগত মান খুবই খারাপ। যার কারণে কম ডাটা ব্যয় হয় আমাদের। এর পেছনে বেশকিছু কারণ আছে। তার মধ্যে হচ্ছে কমপ্লেক্স টেলকো রেগুলেশন, কয়েক স্তরের অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্সিং আছে, কর কাঠামো অনেক বড়। আমরা সিগারেটে অতিরিক্ত কর দিচ্ছি আবার টেলকো থেকেও সমপরিমাণ কর আদায় করা হচ্ছে। টেলকোর মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে ভয়েসকে প্রায়োরিটাইজ করা হয়েছে; যেখানে ডাটাকে ডিপ্রায়োরিটাইজ করা হয়েছে। এ কারণগুলোর সমাধান না করলে প্রযুক্তি কখনো সাশ্রয়ী হবে না এবং মানুষও ব্যবহার করবে না।’

চালডাল ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম আলিম বলেন, ‘আমাদের তরুণরা কাজ করছে। কিন্তু তারা বিনিয়োগ পাচ্ছে না। কেন পাচ্ছে না? ব্যাংকিং খাতে আমাদের ৬০ বিলিয়ন ডলার ভ্যানিশড। আমরা কোনো কিছু চিন্তা না করে বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। কিন্তু নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে, এমন কোথাও আমরা সেভাবে বিনিয়োগ করছি না। এখানে আমাদের এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে এবং আরো বোল্ড হতে হবে।’

প্রাইসওয়াটারহাউজকুপার্স বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের ডাটা ও অ্যানালিটিকস টিমের ম্যানেজার শরীফুল হাসনাইন সবুজ বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ কম থাকার বড় কারণ ডাটা মূল্য, গ্রামের মানুষের সক্ষমতা না থাকা এবং কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা শুধু শহর এলাকাকেন্দ্রিক হওয়া। সম্প্রতি যেসব প্রযুক্তি উন্মোচন হয়েছে, সেসব বিষয় নিয়ে যারা কথা বলে তারা শহুরে তরুণ। গ্রামের তরুণরা এটা নিয়ে সচেতন না। সচেতন না থাকার বড় কারণ গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। ডিজিটাল অ্যাকসেসরিজের দামও অনেক বেশি। দাম বেশির কারণে গ্রামের মানুষজন ইন্টারনেটের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না।’

শপআপের পরিচালক (স্ট্র্যাটেজি) শাহীন সিয়াম বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর আমাদের জেনজেড প্রজন্ম এক্সট্রিমলি মোটিভেটেড। তাদের এখন আমাদের গাইডলাইন দেয়া প্রয়োজন। গাইডলাইনই তাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

ইয়ুথ অপর্চুনিটিজের হেড অব পার্টনারশিপ অ্যান্ড প্রোগ্রাম মালিহা ইকবাল বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন কেনার ক্ষমতা বেড়েছে। তবে শহর ও গ্রামের পার্থক্য এবং পুরুষ ও নারীর ইন্টারনেট ব্যবহারের পার্থক্যটাও এখনো রয়ে গেছে। এ পার্থক্যটা কমানোর পদ্ধতি আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। ডিজিটাল সাক্ষরতা নিয়ে আমরা কথা বলি। কিন্তু শহর ও গ্রামের যুবকের জন্য একই প্রশিক্ষণ দরকার আছে কিনা তা ভেবে কর্মসূচি সাজানো উচিত।’

গ্লোবসাইটের ফেলো রীফাত জাবিন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে উপযুক্ত রেফারেল মেকানিজমের অভাবে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মিলছে না। ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের আওতায় স্বাস্থ্য অধিকার আমাদের বড় জায়গা। এটা শক্তিশালী করতে সব খাতের অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শুধু একটি প্রতিষ্ঠান এটি করলে শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরি করা সম্ভব নয়।’

দি এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সেরাজ বলেন, ‘করোনার সময় নারী উদ্যোক্তাদের অনেক প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল, কিন্তু সেখান থেকে অর্জন খুবই কম ছিল। সুতরাং নীতি তৈরি নিয়ে আমাদের আরো ভাবা উচিত। ক্ষমতায়নের সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে সাইবার নিরাপত্তার বিষয় আছে। যেহেতু আমরা অনেক বেশি যুবক ও নারীকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে নিতে চাচ্ছি, সেখানে নারীরা কীভাবে ডিজিটাল জগতে নিরাপদে ব্যবসা করতে পারে, সে ধরনের বিষয়গুলোও চিন্তা করা দরকার।’

সভাপতির বক্তব্যে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আমরা প্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি। প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা তৈরির দরকার পড়ছে। এটার মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় আনা যায়। আমাদের যুবকদের গড় বয়স ২৭ বছর। কিন্তু তাদের মধ্যে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। জাতীয়ভাবে গড় বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ শতাংশের মতো হলেও তরুণদের মধ্যে এ সংখ্যা অনেক বেশি। এ বিরাট তরুণ জনগোষ্ঠী কোনো কাজে, শিক্ষায় কিংবা প্রশিক্ষণে নেই। তাদের শ্রমবাজারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

স্বাগত বক্তব্যে বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ বলেন, ‘এ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় দিক হলো তারা প্রযুক্তির দ্বারা ক্ষমতায়িত। প্রযুক্তিতে তরুণ ও নারীদের অংশগ্রহণে আরো বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হবে। তাদের কীভাবে কাজের সুযোগ করে দেয়া যায়, তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
image

আপনার মতামত দিন