ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচারে সতর্ক থাকার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪ রিপোর্ট
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত
গণমাধ্যমকর্মীদের ভুল সংবাদ এবং গুজব প্রচারে সতর্ক থাকা এবং গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আলাপকালে নাহিদ বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি আইন নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্য আইনগুলো আমাদের পর্যালোচনার মধ্যে আছে। সংস্কার কমিটিরও প্রধান কাজ হবে আইনগুলোর বিষয়ে পর্যালোচনা করা। যত কম সংখ্যক আইন এবং কম বাধা তৈরি করা যায়, ততই স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য ভালো।

তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করেছি। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন স্বাধীনভাবেই কাজ করবে। তারা সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে একটা রূপরেখা উপস্থাপন করবেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আবার বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকতা কিংবা সংবাদমাধ্যম এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিভিন্ন অংশীজন একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। এখানে অনেক পরস্পরবিরোধী অংশীজন থাকেন। ওয়েজ বোর্ডের কথাই যদি বলি, তাহলে সম্পাদক, মালিক এবং রিপোর্টাররা একেকজন একেকটা পক্ষ নেবে। সবাই মিলে এক জায়গায় আসতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, আন্দোলনের নামে রাজপথে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, বিগত ১৬ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকা আসলে কি ছিল, কারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, এটা সুস্পষ্ট থাকা উচিত। যদি কেউ ভুল করে থাকে কিংবা পরিস্থিতির শিকার হয় তাহলে তাকে ভুল স্বীকার করে মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার আসলে একটি ভিন্ন ধর্মী সরকার। সেই জায়গায় আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের হয়ত অনেক ভুল থাকবে। আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করলে সেটা আন্তরিকভাবেই নেব। যেকোনো ধরনের সমালোচনাকে আমরা ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি। আমাদের প্রধান উপদেষ্টাও সেই কথা বলেছেন। গঠনমূলক সমালোচনা হলে সেটি আমাদের জন্য উপকারী হবে, এতে আমরা নিজেদের কাজের প্রতিফলন দেখতে পাই, শুধরে নিতে পারি। সেই জায়গা থেকে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা থেকে আমরা গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করি।

image

আপনার মতামত দিন