দুপুরের পরে নামে ঝুমবৃষ্টি। কোথাও কোথাও ঘটে বজ্রপাতের ঘটনা। এতে দেশের ছয় জেলায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের কালিগঞ্জ, নরসিংদীর রায়পুরা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীগরের তিন কৃষক; কুমিল্লার দেবিদ্বারের গৃহবধূ, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ধানকাটার দুই শ্রমিক এবং ময়মনসিংহের নান্দাইলের এক তরুণী মারা গেছেন।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বজ্রপাতে মারা যাওয়া কৃষকের নাম শুক্কুর আলীর (৫০)। বাড়ি কালীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বড়নগর এলাকায়। উপজেলার তুমলিয়ার ইউনিয়নের টেক মানিকপুরের উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্কুর ধান কাটার জন্য দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাঠে যান। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের মরিচা গ্রামের নোয়াপাড়ায় বিকেলে বজ্রপাতে মারা যান গৃহবধূ আলেয়া বেগম (৪০)। তিনি কৃষক নজরুল ইসলামের স্ত্রী। বাড়ির পাশে জমিতে পরিবারের সদস্যদের সাথে ধান মারাইয়ের কাজ করার সময় আলেয়ার মৃত্যু হয়।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের শিবপাশা গ্রামের হাওরে বিকেলে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা যাওয়া দুজন হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনিরুল ইসলাম ও কপিল উদ্দিন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীগরের নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বিলে বিকেলে বজ্রপাতে মারা যান কৃষক আব্দুল আওয়াল (৫০)। বিলে ধান কাটতে গিয়ে তিনি বজ্রপাতে আহত হন।
ময়মনসিংহের নান্দাইলের মাদারীনগর গ্রামে দুপুরে বজ্রপাতে প্রাণ হারানো কিশোরীর নাম হাসনা আক্তার। তার বাবার নাম নুরুল হক। জমিতে ধান কাটতে থাকা বাবার কাছে চট পৌছে দেওয়ার সময় বজ্রপাতে মারা যায় হাসনা।
নরসিংদীর রায়পুরার পলাশতলী ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে দুপুরে বজ্রপাতে কৃষক ইব্রাহিম হোসেনের মৃত্যু হয়। বাড়ির পাশে মাঠে ধান কাটার সময় তিনি মারা যান।
এদিকে বৃষ্টিতে স্বস্তি পেলেও রাজধানীবাসী পড়েন যানজটের ভোগান্তিতে। বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় হেটে চলতেও বেগ পেতে হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এমন বৃষ্টি টানা তিনদিন হতে পারে। তবে কোথাও আবার হতে পারে কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাত। সামনে তীব্র গরম পড়বে বলেও তারা জানায়।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, এ সময়ে বৃষ্টি হলে গরম কমে। চলতি মাসের শেষের দিকে আবহাওয়া আবার গরম হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বৃষ্টি হবে, থেমে যাবে, আবার হবে- এমনই চলবে।