ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের মাধ্যমে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার বলে মনে করে গত বছরের জুলাইয়ে ইন্টারনেট বন্ধের সময় প্রতিবাদকারী ও  সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত বিগত সরকারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দিবে। আমরা লক্ষ্য করেছি বুধবার (২ জুলাই) রাতে প্রধান উপদেষ্টার (চিফ অ্যাডভাইসর জিওবি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে যে, ১৮ জুলাই ২০২৫ গতবছরের ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই দিবাগত রাত ০৯ টা থেকে এক মিনিট ইন্টারনেট বন্ধ অর্থাৎ প্রতিকী ব্ল্যাকআউটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী  সরকার। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার। বর্তমান সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনগতভাবেই বলা হয়েছে ইন্টারনেট বন্ধ করা হবে না। এমনকি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বার বার বলেছেন, অন্যদিকে সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টা বলেছেন আগামী দিনে এক মিনিটের জন্যও ইন্টারনেট বন্ধ করা হবে না। তাহলে এক মিনিটের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তার মাধ্যমে বিগত সরকারের টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক ও তার সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল তার স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

সংগঠনটির সভাপতি বলেন, আমরা মনে করি, এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে জনগণের মাঝে উচ্চগতি ইন্টারনেট এবং ফ্রি ডাটা দেওয়াসহ অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ফ্রি ইন্টারনেট সংযোগ এবং সেই সাথে ডিভাইস দেওয়া হোক।

তিনি বলেন, বিগত সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল না, তা যখন আমরা প্রমাণ সহকারে গণমাধ্যমের কাছে প্রচার করি, তখন সেগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হয়েছে। তাই, কোনভাবেই প্রতিকী ব্ল্যাকআউটের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

প্রতিকী ব্ল্যাকআউটের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হিসেবে সংগঠটির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সভাপতি। তিনি বলেন, আগামী ১৮ জুলাই, শুক্রবার রাত আটটা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত এবং রাত ৯ টা ১ মিনিটে সমবেত নাগরিকদের মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচিতে দল-মত নির্বিশেষে সকল নাগরিক বৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।