অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেট সেবায় উৎসে কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন।
এর ফলে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক চাপ হ্রাস পাবে, যা সরাসরি গ্রাহকের খরচ হ্রাসে প্রভাব ফেলবে বলে অর্থ উপদেষ্টা মনে করেন। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট আরও সাশ্রয়ী হলে এর ব্যবহার সর্বসাধারণের জন্য আরও সহজ ও ব্যাপক হবে।’
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির সামনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণায় এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
টেলিকম সেক্টরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘ইন্টারনেটের ওপর যে কর কমানো হয়েছে, এটা ভালো। কিন্তু বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ গ্রাহক পর্যায়ে দাম না কমা পর্যন্ত আমরা একে স্বাগত জানাতে পারছি না। পাশাপাশি ইন্টারনেটভিত্তিক অর্থাৎ অনলাইনভিত্তিক সব সেবার ক্ষেত্রেই কর বৃদ্ধি করা হয়েছে, যার ফলে গ্রাহক পর্যায়ে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং সরকারের রাজস্ব খাতেও ঘাটতি আসবে। ডিভাইসের মূল্য যদি না কমে, তাহলে ইন্টারনেট বিনা মূল্যে দিলেও লাভ নেই।’’
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘‘উৎপাদন পর্যায়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকদের লাভের পরিমাণ কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে সেটাও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভোক্তা পর্যায়ে এর কোন প্রভাব পড়বে না। বেশিরভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক প্রায় ৩০% মূল্য সংযোজন করে এবং ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে এত বেশি ব্যয় হয় না। আমার ধারণা, ব্যবসায়িক পর্যায়ে এর কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না।’’
তবে মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) অব্যাহতি সুবিধা কিছুটা কমানো হয়েছে। এ ছাড়া বাজেটে এই অব্যাহতির মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের ওপর উৎপাদন পর্যায়ে বৈশিষ্ট্যভেদে ৫ ও ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ আছে। অব্যাহতি সুবিধা কমলে ভ্যাট হার আরও ২.৫ শতাংশ করে বাড়তে পারে, যার ফলে বাড়তে পারে মোবাইল ফোনের দাম।