দেশের বাজারে শক্তিশালী ব্যাটারিযুক্ত ‘জিহো এই৮ এসই’ মডেলের নতুন বৈদ্যুতিক স্কুটার বাজারজাত শুরু করেছে সিএফমটো বাংলাদেশ। চীনের বাইক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিএফমটোর সহযোগী ব্র্যান্ড জিহোর তৈরি বৈদ্যুতিক স্কুটারটিতে পাঁচ হাজার ওয়াটের হাব মোটর ব্যবহার করা হয়েছে, যা সর্বোচ্চ আট কিলোওয়াটের শক্তি প্রদান করতে পারে। এর পাশাপাশি ৭৪ ভোল্টের ২৭ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ার পার আওয়ারের লিথিয়াম আয়নের ২টি ব্যাটারি থাকায় একবার পূর্ণ চার্জে ১০৫ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করতে পারে স্কুটারটি।
বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন মডেলের বৈদ্যুতিক স্কুটারটির বাজারজাত কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সিএফমটো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বোরহান উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, জ্যেষ্ঠ বিপণন ব্যবস্থাপক মো. সামিউল হাসানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বোরহান উদ্দিন বলেন, বৈদ্যুতিক স্কুটারটিতে আধুনিক প্রযুক্তির সব ধরনের সুবিধা থাকায় মোবিলিটির অন্যতম উদাহরণ হবে। বৈদ্যুতিক স্কুটার দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা মিটিয়ে সার্বক্ষণিক সঙ্গী হতে পারে তা প্রমাণ করবে জিহো।
মো. সামিউল হাসান বলেন, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ চার্জিং স্টেশন না থাকায় অনেকে বৈদ্যুতিক বাইক কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। কিন্তু জিহোর বৈদ্যুতিক স্কুটারটির ব্যাটারি খুলে মুঠোফোনের মতো করে ঘরে চার্জ দেওয়া যায়। মাত্র ৪ ঘণ্টা ২০ মিনিটে স্কুটারটির ব্যাটারি শূন্য থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, মুঠোফোনে ব্যাটারির চার্জের সর্বশেষ অবস্থা জানার পাশাপাশি স্কুটারের বিভিন্ন কারিগরি তথ্যও জানা যায়।
চাবি ছাড়া লক বা আনলকের জন্য এনএফসি কার্ড রয়েছে স্কুটারটিতে। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে অ্যান্টি থেফট প্রটেকশন প্রযুক্তি, যা নিরাপত্তা সংকেত দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে স্কুটারের চাকা আটকে দিতে পারে। পাঁচ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লেযুক্ত স্কুটারটিতে রয়েছে ক্রুজ কন্ট্রোল সুবিধা, এলইডি হেডলাইট, আসনের নিচে মালামাল নেওয়ার জন্য প্রশস্ত জায়গা, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস, ইকো, স্ট্রিট এবং স্পোর্টসসহ তিনটি রাইডিং মোড, ফোর পিস্টন ক্যালিপার, নতুন ডিজাইনের হ্যান্ডেলবার এবং ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম (টিসিএস)।
স্কুটারটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা যথাক্রমে ১ হাজার ৯২০, ৭৮০ এবং ১ হাজার ১২০ মিলিমিটার। ভূমি থেকে স্কুটারটির উচ্চতা (গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স) ১৬০ মিলিমিটার। দুই চাকার মাঝের দূরত্ব ১ হাজার ৩৮০ মিলিমিটার এবং আসনের দৈর্ঘ্য ৭৮৫ মিলিমিটার। ১৩৪ কেজি ওজনের স্কুটারটিতে উচ্চ সহনশীল স্টিল টিউব ফ্রেম, সামনের চাকায় ডুয়েল হাইড্রোলিক সাসপেনশন এবং পেছনের প্রশস্ত চাকায় প্রিলোড সাসপেনশন সুবিধা রয়েছে।
সাদা ও কালো রঙে বাজারে আসা স্কুটারটির দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। তবে প্রথম ২৫ জন ক্রেতা ১ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা ছাড়ে অর্থাৎ ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনতে পারবেন স্কুটারটি।