তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) এবং প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে এবং তাদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে আবারও শুরু হচ্ছে জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (এনএইচএসপিসি) ২০২৫।আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিতভাবে আয়োজিত হয়ে আসা এই প্রতিযোগিতা দেশের তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ সমমানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে জনপ্রিয় করা।
এ বছর শিক্ষার্থীরা প্রোগ্রামিং, আইসিটি কুইজ ও দাবা প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে সেমিনারসহ আরও বিভিন্ন আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
তিনটি শ্রেণিতে-জুনিয়র (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি), সেকেন্ডারি (নবম থেকে দশম শ্রেণি) এবং হায়ার সেকেন্ডারি (একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ক্ষেত্রে ষষ্ঠ থেকে এইচএসসি ২০২৫ পর্যন্ত, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডর ক্ষেত্রে দাখিল থেকে আলিম ২০২৫ পর্যন্ত পরীক্ষার্থী এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ক্ষেত্রে পলিটেকনিক চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা এবং ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে ২০২৫ সালের ও/এ লেভেল পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। শুধু কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে দুটি শ্রেণিতে-জুনিয়র (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি) এবং সেকেন্ডারি (নবম থেকে দশম শ্রেণি)।
প্রোগ্রামিং ও কুইজ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য দাবা প্রতিযোগিতা, সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে সেমিনারসহ বিভিন্ন আয়োজন থাকবে আঞ্চলিক ও জাতীয় প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতাটি ১৬টি অঞ্চলে বিভক্ত করে দেশের ৬৪টি জেলার শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করবে।
এ বছর জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতাগুলো দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক পর্যায়ে আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
আঞ্চলিক পর্বে উত্তীর্ণ প্রতিযোগীদের নিয়ে ঢাকায় জাতীয় বা চূড়ান্ত পর্ব আয়োজন করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে প্রত্যেক প্রতিযোগীকে ৬-১০টি প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধান করতে হবে এবং কুইজ প্রতিযোগীদের ৫০টি কুইজ প্রশ্নের উত্তর কাগজে লিখে জমা দিতে হবে।
জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ২০২৫-এর মূল আয়োজনে রয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও আইসিটি বিভাগ। বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন, এজ (এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি) প্রকল্প এবং ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অনলাইনে নিবন্ধন ও আয়োজনের বিস্তারিত জানা যাবে এই
ওয়েবসাইটে।