সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক স্থাপনে বিশ্বব্যাংক অর্থায়িত হিট প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্র্যাকনেট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
উচ্চশিক্ষা ত্বরান্বিতকরণ ও রূপান্তর (HEAT) প্রকল্পের আওতায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে আধুনিক ডিজিটাল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো স্থাপনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ব্র্যাকনেট লিমিটেড-এর মধ্যে ২০ আগস্ট, বুধবার একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
“সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে আধুনিক নেটওয়ার্ক উপকরণ ও ওয়াই-ফাই অবকাঠামো স্থাপন” প্রকল্পের আওতায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (MBSTU), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (PUST), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (IU), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (CUET), রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RmSTU), গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (GSTU) সহ মোট ২৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত ডিজিটাল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ও ক্লাউড-ভিত্তিক Wi-Fi সুবিধা স্থাপন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় ৬০,০০০+ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকের সংযোগের নতুন দুয়ার খুলে দেবে। প্রকল্পের পক্ষ থেকে প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান ও প্রকল্পের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ব্র্যাকনেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব অপারেশনস মোঃ মুকাররাম হুসাইন এবং পরিচালনা পর্ষদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান বলেন, “এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও শিক্ষায় আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের মান সমুন্নত রাখতে সক্ষম হবে। আমি আশাবাদী, ব্র্যাকনেট আইসিটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের কাজ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে সম্পন্ন করবে।”
ব্র্যাকনেট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. মুকাররাম হুসাইন বলেন, “ব্র্যাকনেট বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। ব্র্যাক ইউনিভারর্সিটি তে স্মার্ট ক্যাম্পাস সহ একাধিক উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায়, হিট প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বিশ্বমানের নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য সম্মানের। আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ নিয়ে কাজ করব, যেন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপ হয় সময়োপযোগী, নিরাপদ এবং সফল।”
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষা, গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার হবে এবং উচ্চশিক্ষা খাত আরও শক্তিশালী হবে।