জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, তবুও ২৮৬২ কোটি টাকার ঘাটতি

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট, ২০২৫
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png নিজস্ব প্রতিবেদক
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

প্রবৃদ্ধি হলেও রাজস্ব আদায়ে গতি ফেরেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর)। আন্দোলন শেষ হলেও জুলাই মাসে শুল্ক ও কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। তবে আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। গতকাল বুধবার এনবিআরের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য মতে, জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ১১১ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ২৭ হাজার ২৪৯ কোটি, ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা বা প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ। যদিও গত অর্থবছরের একই মাসে আদায় হয়েছিল ২১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, চলতি বছরের জুলাইয়ে আদায় বেড়েছে ৫ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা, যা প্রবৃদ্ধির হিসাবে দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

গত মে ও জুন মাসে এনবিআরের আন্দোলনের কারণে বড় ঘাটতির মুখে পড়েছিল রাজস্ব খাত। বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে রাজস্ব আদায়ে স্থবিরতা তৈরি হয়। জুলাইয়ে আন্দোলন শেষ হলেও প্রত্যাশিত গতি ফেরেনি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্দোলনের পর বদলি ও বরখাস্তের আতঙ্কে অনেকে কাজে মনোযোগ হারিয়েছেন, যা রাজস্ব আদায়ে প্রভাব ফেলছে।

সাবেক সচিব ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, রাজস্ব আদায়ে এই নেতিবাচক প্রভাব অনুমেয়ই ছিল। সরকারের উচিত দ্রুত জটিলতা নিরসন করে খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো, যাতে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়।

খাতভিত্তিক তথ্য মতে, জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব এসেছে স্থানীয় মূসক থেকে, যেখানে আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। গত বছরের একই মাসে এ খাতে আদায় ছিল ৮ হাজার ৫৭১ কোটি, ফলে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে আদায় হয়েছে ৬ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ২১১ কোটি। গত বছরের তুলনায় এই খাতে আদায় বেড়েছে ৫ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা বা ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আমদানি ও রপ্তানি খাতে আদায় হয়েছে ৯ হাজার ৬০২ কোটি টাকা, লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ১৪৯ কোটি। আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।

এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ জানিয়েছেন, আয়কর, মূসক ও শুল্ক খাতে আদায় জোরদার করতে নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে করদাতাদের আইন মেনে কর পরিশোধে উৎসাহিত করা হবে, যাতে দেশ গঠনে তাদের ভূমিকা আরও সুদৃঢ় হয়।

image

আপনার মতামত দিন