চালু হচ্ছে হটলাইন: ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হলেই অভিযোগ জানানো যাবে

প্রকাশ: রবিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৫
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png টেকভয়েস২৪ রিপোর্ট
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত
রাস্তা-ঘাটে নারীদের যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করতে পুলিশ দ্রুত আলাদা হটলাইন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

রবিবার (৯ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের আইন উপদেষ্টা বলেন, নারীদের সাথে রাস্তা-ঘাটে যে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি করা হয় সে বিষয়ে প্রতিকার নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত আলাদা একটা হটলাইন দেওয়া হবে। ২৪ ঘণ্টা মধ্যে এটা করা হবে।  রাস্তা-ঘাটে যেকোনো ঘটনা ঘটলে সেই হটলাইনে অভিযোগ দেওয়া যাবে। এটা তদারকি জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেডিকেটেড একটা সেল থাকবে। এছাড়া ধর্ষণ মামলা তদারকির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের একটা আলাদা সেল থাকবে। যাতে অযথা কালক্ষেপণ না করা হয়।  

দিনাজপুরের শিশু ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের জামিন আপিল বিভাগে বাতিল হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, অনেক সময় প্রত্যাশামাফিক আমরা কাজ করতে পারি না। সেটা নিয়ে যন্ত্রণা থাকে, আত্মদহন থাকে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এখন যে নারীর প্রতি সহিংসতা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে, ধর্ষণ হচ্ছে- এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই সরকারের পুরো প্রশাসন এসব মামলায় সুবিচার নিশ্চিত ও সব ধরনের যৌন হয়রানি বন্ধের সব প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে আজকের মিটিং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, আমরা প্রত্যেকেই আপনাদের মতো ডিস্টার্ব। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের আরও অনেক কঠোর হতে হবে। এখান থেকে যে কোনো ধরনের মব জাস্টিসকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।

মাগুরার ঘটনায় কত দিনের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করবেন, ইতোমধ্যে একটা দাবি উঠেছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচার করতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব করবো। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টা হলো, অনেক সময় দ্রুত বিচার করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে অবিচারও হতে পারে। এজন্য আমরা অর্ধেক সময় কমানোর লক্ষ্য রেখেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে মাগুরার বিষয়ে সবাই মিলে কাজ করলে তারও অনেক আগে কাজ শেষ করতে পারবো।



image

আপনার মতামত দিন