রাজধানীর শাহবাগে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনরত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণের ঘটনায় দেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সারাদেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’-এর ব্যানারে পূর্বঘোষিত লং মার্চ কর্মসূচি নিয়ে শাহবাগে সমবেত হলে হঠাৎ করেই পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বহু শিক্ষার্থী আহত হয়।
বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও একমাত্র জাতীয় প্রকৌশলী সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আইইবি বলেছে, “যেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উল্টো আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছে। কোমলমতি ভবিষ্যৎ প্রকৌশলীদের রক্ত ঝরানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক দমন-পীড়নের খবর পেয়ে আইইবি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং আহতদের খোঁজ-খবর নেন। শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন। আইইবি’র দাবি, শিক্ষার্থীদের উপর এ ধরনের অমানবিক আচরণ দেশের ভবিষ্যৎ প্রকৌশল সমাজকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।
ভবিষ্যৎ প্রকৌশলীদের উপর আঘাত, দেশের উপর আঘাত, আইইবি এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজকের শিক্ষার্থী হলেও, আগামী দিনের প্রকৌশলী। তাঁদের হাত দিয়েই নির্মিত হবে টেকসই ও উন্নত বাংলাদেশ। তাঁদের উপর আঘাত মানে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পথ রুদ্ধ করা।
“জাতির মেধাবী সন্তানদের উপর আক্রমণ শুধুই তাঁদের বিকাশ ব্যাহত করবে না, বরং জাতীয় স্বার্থেও বড় ক্ষতির কারণ হবে।”
আইইবি শুধু নিন্দা নয়, একইসাথে স্পষ্ট দাবি জানিয়েছে, আহত শিক্ষার্থীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে হবে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রকৌশলী সমাজের অঙ্গীকার এই মর্মে আইইবি স্পষ্ট জানিয়েছে, “ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) দেশের স্বার্থে প্রকৌশলী সমাজের মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায্য অধিকার রক্ষায় অটল। এ ঘটনায় আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”