নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। গণবিক্ষোভের মুখে তিন দিন আগে কেপি শর্মা অলি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর দেশটিতে সৃষ্ট রাজনৈতিক শূন্যতার পর শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেওয়ার মাধ্যমে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সুশীলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এবার তিনি দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের রাজনৈতিক রূপান্তরের নেতৃত্ব দেবেন। তীব্র অস্থিরতার মধ্যে তার ওপর পড়েছে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কঠিন দায়িত্ব।
এর আগে গত সপ্তাহের শুরুতে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে নেপালে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদ থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন দ্রুত সরকারবিরোধী রূপ নেয়। ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে নিহত হন অন্তত ৫১ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন।
অলির পদত্যাগের পর আন্দোলনকারী জেন-জির প্রতিনিধি ও নেতারা নতুন নেতৃত্ব হিসেবে সুশীলা কার্কির নামই প্রস্তাব করেন। তার দুর্নীতিবিরোধী দৃঢ় অবস্থান এবং পূর্ববর্তী কর্মজীবনের জনপ্রিয়তার কারণে তিনিই আন্দোলনকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন।
রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ও জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর কার্কির নামেই সবার সম্মতি মেলে। তার নেতৃত্বেই নতুন সরকার গঠিত হবে। এছাড়া আগামী বছরের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন।