ঈদ মানেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়, আর সেই ভিড়ের শুরু যেন অনলাইনের পর্দায়! আজ ২৬ মে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ৫ জুনের ট্রেন টিকিটের অনলাইন বিক্রি। কিন্তু আগ্রহ এতটাই তুঙ্গে যে, ভোর থেকেই রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মানুষ। মাত্র আধা ঘণ্টায় হিট সংখ্যা পৌঁছে গেছে ২ লাখ ৯৭ হাজারে, গত পাঁচ দিনের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি।
রেলের টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরের অনেক জেলার যাত্রীরা এদিন ফিরতে চান। মাত্র কয়েক মিনিটেই এসব ট্রেনের প্রায় সব আসন বুকড হয়ে যায়।
অনলাইনে টিকিট পাওয়ার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে অনেককে। কেউ সাইটে ঢুকতে পারেননি, কেউবা সিলেক্ট করেও পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে অনেকেই টিকিট পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুলতানা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রতি ঈদেই একই ঘটনা ঘটে। শুধু কষ্টটাই থেকে যায়। সরকার আধুনিক প্রযুক্তির কথা বললেও বাস্তবে কিছুই কাজ করে না।’
কমলাপুর রেলস্টেশনে স্টেশন ম্যানেজার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এবার অনলাইনে টিকিট বিক্রির জন্য ট্রেনভিত্তিক আসনসংখ্যা ও সময় ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫ জুনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কারণ সরকারি অফিস আদালত ওই দিন বন্ধ হবে, সবাই ওই দিন যেতে চান। আগামীকাল অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শেষ হচ্ছে। এরপর থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিকের যাত্রা।’
এবার ঈদে ৪৩টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করবে। এসব ট্রেনের মোট আসনসংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার ৩১৫। এর বাইরে প্রতিটি ট্রেনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে স্টেশনের কাউন্টার থেকে।
ঈদের আগের ৭ দিনের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে ধাপে ধাপে। আগামীকাল ২৭ মে বিক্রি হবে ৬ জুনের টিকিট। ঈদের ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩০ মে। এদিন দেওয়া হবে আগামী ৯ জুনের অগ্রিম টিকিট।