সমাজের জন্য কিছু করাই যার ব্রত

প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮
Image উজ্জ্বল এ গমেজ
news-banner
  ছবি: টেকভয়েস২৪
সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিল তার। নিয়মিত কমপক্ষে ১৫টি পত্রিকা পড়তেন। পত্রিকার হাতে নিয়েই সম্পাদকীয় আর উপসম্পাদকীয় পাতা উল্টাতেন। দেশসেরা লেখকদের লেখা পড়তেন।অনুপ্রাণিত হতেন। স্বপ্ন দেখতেন কলামিস্ট হওয়ার। সেই স্বপ্নকে লালন করে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে ‘মুভমেন্ট ফর চেঞ্জ’ এর মাধ্যমে প্রচলন করেন যৌথভাবে পত্রিকায় নিবন্ধ লেখার।
 
ঢাবিতে পড়াশুনার সময়েই প্রায় ২শর অধিক কলাম লেখা হয়ে যায় তার। এরপর থেকে দেশের  প্রায় সব জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত লিখে আসছেন। বর্তমানে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্টে (পিআইডি) নিয়মিত ফিচার লিখছেন। তিনি হলেন লেখক ও কলামিস্ট সফিউল আযম। 
 
সম্প্রতি এই প্রতিবেদেকের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। একান্ত আলাপে বেরিয়ে আসে তার বর্ণাঢ্য জীবনের নানা দিক। লেখক ও সাংবাদিকের সেই বর্ণাঢ্য জীবনের গল্প জানাচ্ছেন উজ্জ্বল এ গমেজ। 
 
সফিউল আযম। বাবা আবদুল লতিফ। একটা বেসরকারি কম্পানিতে চাকরি করতেন। এখন অবসরে আছেন। মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা গৃহিনী। চাঁদপুরেই বেড়ে ওঠা। উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে পাড়ি জমান ঢাকায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
 
লেখালেখিটা ছিল সফিউল আযমের নেশা। কলেজে পড়ার সময় বন্ধুরা মিলে একটা সাহিত্য ম্যাগাজিন বের করতেন। ম্যাগাজিন সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দায়িত্বের সুবাদেই লেখার চর্চা বেশি করা হতো। বলা যায় কলেজ থেকেই লেখালেখির শুরু। এরপরে ঢাবিতে এসে পান অবারিত সুযোগ। তৈরি করে নেন লেখালেখির প্লাটফর্ম। ঢাবি’র সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক নিয়মিত দেয়াল পত্রিকা বের করতেন, নিয়মিত সাহিত্য আড্ডাও চলতো। আহ্বায়ক হিসেবেও তার দায়িত্ব ছিল অনেক।  
 
সফিউলের জাতীয় পত্রিকায় প্রথম লেখা আসে ২০০০ সালে; প্রথম আলো পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে। শহীদ মিনারের সম্মান রক্ষা নিয়ে লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর তার আগ্রহ বেড়ে যায়। চিঠিপত্র কলামে এই চিঠিটি পাঠানোর আগে কমপক্ষে ২০ বার লিখেছেন আর ২০বারই ছিড়েছেন। আর প্রকাশিত হবার পর…! কমপক্ষে ৫০ বার পড়েছেন। জাতীয় দৈনিকে ছাপা হওয়া বলে কথা!    
 
শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে, শিশুদের অধিকার নিয়ে লিখতে, গবেষণা করতে ভাল লাগে তার। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় শতাধিক উপ-সম্পাদকীয় লিখেছেন তিনি। ‘শিশুদের অধিকার ও আমাদের দায়বদ্ধতা’ শিরোনামে একটা বইও লিখেছেন। লিখেছেন স্থানীয় সরকারব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়েও। যেমন- ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের দিন বদলের যে স্বপ্ন, এসব বিষয় নিয়ে। এ বিষয়ে মুন্নী প্রকাশন থেকে তার একটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম ‘স্থানীয় সরকার আইন ও পর্যালোচনা’। বইটিতে স্থানীয় সরকারব্যবস্থার বিভিন্ন আইনের পাশাপাশি তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন সেগুলোর ইতিবাচক ও স্থানীয় সরকারের যেসব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম রয়েছে সেগুলোর কোন বিষয়গুলোতে নজর দিলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
 
লেখালেখির আগ্রহ দেখে জহুরুল হক হলের টিনশেডের রুমমেট বড়ভাই মনজুর আহমেদ (আইসিডিডিআরবি’তে কর্মরত) তাকে পরিচয় করিয়ে দেন তৎকালীন যুগান্তরে কর্মরত একই হলের বড় ভাই ফারুক আহমেদের (বর্তমানে ফিচার সম্পাদক, ইত্তেফাক) সঙ্গে। তিনি নিয়ে যান কমলাপুরের সেই যুগান্তর পত্রিকা অফিসে। জিয়া হাসান (বর্তমানে সমকাল) ভাইয়ের টিউটোরিয়াল পাতায় লেখার এসাইমেন্ট দেন। প্রথম মাসে পান ১৬ শত টাকা! একজন ছাত্রের জন্য নিজের আয়ের এই ১৬ শত টাকা যেন অমুল্য সম্পদ। আর কৃষিকথা ও প্রিয় ঢাকা পাতায় নিয়মিত লেখালেখি। পেশাগতভাবে লেখালেখিটা শুরু হয় এখান থেকেই। এরপর প্রথম আলোর ফিচার বিভাগে কাজ করেছেন ২০০৭ সাল পর্যন্ত। 
 
ঢাবির জীবনের স্মরণীয় ঘটনা বিষয়ে সফিউল বলেন, ২০০২ সাল। ঢাবি’র শামসুন্নহার হলে পুলিশী হামলা হয়। প্রতিবাদে শুরু হয় তীব্র আন্দোলন। ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হলেও আমরা ক্যাম্পাস ছাড়িনি, শহীদ মিনারে অনশনে যোগ দিই। এই প্রতিবাদ থেকে আমরা পরিকল্পনা করি দলবদ্ধভাবে পত্রিকায় লেখার। এবং বাংলাদেশে সর্বপ্রথম আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে প্রচলন করি যৌথভাবে পত্রিকায় নিবন্ধ লেখার। আমাদের গ্রুপটির নাম ছিল ‘মুভমেন্ট ফর চেঞ্জ’। একই সময়ে আমরা ঢাবিতে শুরু করি, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি রাইটার্স ফোরাম’ যার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন বাংলাবাজার ও বর্তমানে ইত্তেফাকে কর্মরত ফাইজুল ইসলাম। তারপর গঠন করা হয় ‘সেন্ট্রাল লাইব্রেরি রিডার্স ফোরাম’। এখানেও ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন ধরণের দাবিদাওয়া স্থান পেত। ইতোমধ্যেই লেখাগুলো নিয়ে একটা সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম ‘জেগে উঠার সময় এখনই’। বইটির মূল বিষয়বস্তু হলো শিক্ষার্থীদের অধিকার ও জাতীয় রাজনীতির যেসব বিষয় নিয়ে ‘মুভমেন্ট ফর চেঞ্জ’ সোচ্চার ছিল, সেসব সচেতনতামূলক লেখাগুলো নিয়েই এই বইটি।
 
এভাবেই সফিউল হয়ে যান একজন কলম সৈনিক। ২০০০ সাল থেকে প্রথম আলো, ইত্তেফাক, যুগান্তর, সমকাল, ডেসটিনি, যায়যায়দিন, দ্য ডেইলি সান, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, নিউ নেশনসহ দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন দৈনিকে নিয়মিত তার লেখা প্রকাশ হতে থাকে। এভাবে ঢাবিতে পড়াশুনার সময়েই প্রায় ২শর অধিক কলাম লেখা হয়ে যায় সফিউলের। 
 
সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের উপর তিনি গবেষণামূলক কলাম লিখেন। তার লেখার বিষয়বস্তু হলো সচেতনতা তৈরি করা, সমাজ সচেতনতা সৃষ্টি করা। তাঁর লেখার উপজীব্য পিছিয়ে পড়া ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী হলেও অগ্রাধিকার পায়  শিশুঅধিকার, বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, যুব অধিকার, নারী অধিকার, ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার প্রভৃতি। বিভিন্ন বিষয়ে মফস্বলের সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণও দিয়ে আসছেন নিয়মিত।
 
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার নিমিত্তেও লিখে আসছেন নিয়মিত। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছেন পরিবারের সবাই ইতিবাচক চিন্তা করে। একটি রাজনৈতিক আবহে বেড়ে উঠা সফিউল আযম ইতিবাচক রাজনীতির শিক্ষাটা নেন বড়ভাই অধ্যাপক ফারুক আহমেদের কাছ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লেও পরবর্তীতে মনোযোগ দেন লেখালেখিতে। আর সেজন্যই ছাত্রআন্দোলন, ছাত্রদের উপরে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন বেশকিছু নিবন্ধ। 
 
ঢাবিতে থাকা অবস্থাতেই একটা যুক্ত হন বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি সংস্থার যোগাযোগ ও গণমাধ্যম বিষয়ক কাজের সঙ্গে। কাজ করেন সিভিল সোসাইটি ও পলিসি মেকারদের সঙ্গে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার জনসংযোগ, অ্যাডভোকেসি ও ব্রান্ডিং প্রমোট করার কাজ করছেন, অ্যাডভোকেসি ক্ষেত্রে সফলতার হারও অনেক।  
 
ব্র্যাণ্ডিংয়ের কাজটি কি? জানতে চাইলে সফিউল বলেন, ব্রান্ডিং হচ্ছে কোন কোম্পানির নাম, টার্ম, সাইন, সিম্বল বা ডিজাইন সবকিছুরই সমন্বিত রূপ-যেখানে তার সংস্থা কিংবা পণ্য, তার সার্ভিস, সিস্টেম অন্য থেকে তাকে আলাদা করে। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমার যে প্রোডাক্টটা আছে এটাকে ইতিবাচকভাবে জনগণের কাছে উপস্থাপন করা। অনেকে আছে খারাপ বিষয়টাকে ভালভাবে আকর্ষণীয়ভাবে জনগণের কাছে তুলে ধরেন এটাকে আমি ব্র্যাণ্ডিং মানি না। ব্র্যাণ্ডিংটা হলো, আমার যে উপাদান, বস্তু কিংবা কর্মকাণ্ড আছে, সেটার মূল বিষয়টা ঠিক রেখে আকর্ষণীয়ভাবে হাজির করা।
 
জনসংযোগ পেশাটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন? জবাবে কলামিস্ট জানালেন, আসলে আমাদের দেশে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভিন্নভাবে জনসংযোগ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে জনসংযোগ পেশার বিস্তার ঘটলেও বেশির ভাগ দপ্তরেই স্বয়ংসম্পূর্ণ জনসংযোগ বিভাগ, নীতিমালা ও কৌশল অনুপস্থিত। সাধারণত এই বিভাগের কাজ হলো, সংস্থা কর্মকাণ্ড ও বিজ্ঞাপন উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত গণমাধ্যমে প্রচার, বিজ্ঞাপন সম্পর্কে ভালো ধারণা, প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি গড়ে তোলা, গণমাধ্যমের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থকে সমুন্নত রাখা, অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং তথ্য সংরক্ষণ, প্রতিষ্ঠানের মানসম্পন্ন প্রকাশনা বের করা, ফটোগ্রাফি প্রভৃতি জনসংযোগ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে বিবেচিত। 
 
তার মতে, পরিশ্রম করার মানসিকতা, জনসংযোগ সংশ্লিষ্ট আচরণবিধি ও নীতিমালা মেনে চলার ইচ্ছা ও আন্তরিকতা জনসংযোগ কর্মকর্তার গুণাবলী হওয়া বাঞ্ছনীয়। সর্বোপরি সততা, নিষ্ঠা, শ্রদ্ধাবোধ, টিম ওয়ার্ক, দায়িত্ব ও সময় সচেতন হওয়াটা অতিব জরুরি। এই পেশাটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশাও বটে!
  
শৈশবজীবনের  স্বপ্ন বিষয়ে সফিউল বলেন, ছোটবেলার ভাবনাটা একটু ভিন্ন ছিল। যেমন, আমার ভাবনা ছিল সমাজে যেসব অসঙ্গতি আছে, সেগুলো দূরীকরণে নিজেকে সম্পৃক্ত করবো। সমাজের জন্য কিছু করার ব্রতটা সব সময়ই ছিল। তাই পড়াশুনার জীবন শুরু করে ধাপে ধাপে যখন এগিয়ে যাই, যেহেতু ঢাবিতে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিষয়ে পড়াশোনা করি, মানবিক দিকটা আরো বেশি জাগ্রত হয়। সত্যিকার অসহায় মানুষদের জন্য কিছু করার মানসিক ভিত্তিটা মজবুত হয় প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে। এখনও সে কাজই করে যাচ্ছি।
 
জীবনে তো অনেক সমাজ সচেতনতামূলক কাজই করেছেন। উল্লেখযোগ্য কোন কিছু কি করেছেন? জানতে চাইলে হেসে জবাব দিলেন, ঢাবি’র বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একটা সংগঠন করেছি। যার নাম, ‘ডেভেলপমেন্ট ইনশিয়েটিভ ট্রাস্ট’। চাকরি করে যে টাকা আয় করি তা থেকে কিছু অংশ দিয়ে আমরা এসব মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করি এই সংগঠনের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া, জাপানে অধ্যয়নরত আবু জাফর সালেহ তাদের স্কলারশিপের টাকা বাঁচিয়ে এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছেন। আমাদের এই কার্যক্রমসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শিশুদের সুরক্ষা, ইয়ুথ লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট, এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট, ইমার্জেন্সি রেসপন্স, গরিব ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণ ও হেলথ চেকআপ, স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরী প্রভৃতি।
 
এতো লেখালেখির শক্তি পান কোথা থেকে জানতে চাইলে মানবতাবাদী লেখক বলেন, আমি লিখব - এই মানসিকতাই লেখার প্রেরণা। লেখক হওয়ার জন্য পড়ার বিকল্প নেই। বিশেষ করে কলাম লিখতে হলে সংবাদপত্র নিয়মিত পড়তে হবে। সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে। 
 
লেখালেখির পরিকল্পনা বিষয়ে তিনি বলেন, আমার লেখার মধ্যদিয়ে পিছিয়ে পড়া সমাজকে নিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। যুব সমাজের মধ্যে নেতৃত্ববোধ, দেশপ্রেম জাগ্রত করতে চাই, লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। সৃজনশীল কাজে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করতে পারলে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।  

নিউজটি বিবার্তায় প্রকাশ হয়েছে। মূল নিউজটি দেখতে ক্লিক করুন এ লিংকে

Leave Your Comments