স্টার্ট-আপে সফল হতে যা করতে হবে

প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১৮
Image টেকভয়েস২৪  ডেস্ক
news-banner
  ছবি: সংগৃহীত
উদ্যোক্তা নতুন ব্যবসা করার জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে তাকেই বিজনেস স্টার্ট-আপ বলে। এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। কারণ এই স্টার্ট-আপ সফল হলে পূর্ণ বিজনেস বা ব্যবসায়ে রূপ নিতে পারে। আর যদি অসফল হয় তাহলে তা বিজনেস ক্ষেত্রে হেরে যাবে। তাই বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য কলা-কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে স্টার্ট-আপকে বাজারে দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখা উচিত।

স্টার্ট-আপকে দীর্ঘমেয়াদে বাজারে টিকিয়ে রাখার পদ্ধতি

সাধারণত কয়েকটি পদ্ধতি বাজারে স্টার্ট-আপকে টিকে থাকতে সহায়তা করে। যেমন-
ইউনিক পণ্য
বাজারে টিকে থাকার জন্য ইউনিক পণ্য অপরিহার্য। পণ্যের মান, সেবা ও তার গুণগত মান যত ভালো হবে বাজারে টিকে থাকা তত সহজ হবে। তাই পণ্য গবেষণা ও পণ্যের মান উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আদর্শ কাস্টমার বাছাই
কাস্টমারই স্টার্ট-আপকে সফল করবে। তাই নির্দিষ্ট মার্কেট, কাক্ষিত ও টার্গেটেড কাস্টমারকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করতে হবে। কাস্টমারের প্রতিক্রিয়া সন্তোষজনক হলে তবেই স্টার্ট-আপ বাজারে টিকে থাকবে।

মূল শক্তিকে খুঁজে বের করা
একটি ব্যবসায়ের জন্য পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পন বাস্তবায়ন, ত্রুটি নির্বাচন, সমাধান করণ ইত্যাদির মাধ্যমে মৌলিক বিজনেস শক্তিকে খুঁজে বের করা ও যথাযথ ব্যবহার করাতে হবে। ব্যবসায়ের দুর্বলতাগুলোও পরিমাপ করতে হবে এবং তা কাটিয়ে উঠতে হবে। SWOT বিশ্লেষণের দ্বারা স্টার্ট-আপের দুর্বলতা ও শক্তিকে নির্ধারণ করা যায়।

আয়ের প্রবাহ যাচাই
ব্যবসায়ের মূল লক্ষ্য হলো সেবার মাধ্যমে মুনাফা বৃদ্ধি। তাই আয় বা লাভ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে।

সঠিক কর্মী বাছাই
একটি ভালো টিম ব্যবসায়কে শূণ্য থেকে সুউচ্চ শিখর পর্যন্ত নিতে পারে। তাই কর্মী বাছাই করা ও গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে সফল ব্যবসায়ী হওয়ার জন্য ভালো টিমের সাথে কাজ করা উচিত।

উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে স্টার্ট-আপ পরিকল্পনা করলে তা ধীরে ধীরে সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

লেখক : নাজমুন নাহার নূপুর,  কন্টেন্ট রাইটার, ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ গ্রুপ

Leave Your Comments