সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘জয়ী কর্পোরেট কানেক্ট’ প্রোগ্রামের ধারাবাহিকতায়, বিশ্বব্যাংকের ‘উইমেন অন্ট্রাপ্রেনার্স ফাইন্যান্স ইনিশিয়েটিভ’ এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘নারী-নেতৃত্বানাধীন এসএমই’র মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক সাপ্লাই চেইন গতিশীল করা’ শিরোনামে একটি ‘সিএক্সও রাউন্ডটেবিল’ আয়োজন করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। নারী-কেন্দ্রিক ব্যবসায়িক পরিবেশে গঠনমূলক পরিবর্তন আনাই ছিল এই রাউন্ডটেবিলের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ কর্পোরেট নেতারা উপস্থিত হন এবং অংশগ্রহণকারী সিএক্সও-রা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সাপ্লাই চেইনে নারী উদ্যোক্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আগ্রহী প্রকাশ করেন। আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস অন্যান্য সিএক্সওদের সাথে এতে অংশ নেন, যেখানে তিনি নারী উদ্যোক্তাদের সাপ্লাই চেইনে অন্তর্ভুক্ত করার আইপিডিসি’র পরিকল্পনা শেয়ার করেন। এই যৌথ লক্ষ্যের প্রতীক হিসেবে অতিথিদের জয়ী উদ্যোক্তা প্রভা অরোরার তৈরি পরিবেশবান্ধব কলম উপহার দেওয়া হয়, যা দেশীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে আইপিডসি’র নেওয়া উদ্যোগের প্রতিফলনস্বরূপ।
এ প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, “আমরা নারী-কেন্দ্রিক ব্যবসায়িক পরিবেশে পরিবর্তন আনতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের জয়ী ৩৬০ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা নারী উদ্যোক্তাদের বাজারে প্রবেশাধিকার ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করছি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের উই-ফাই প্রোগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত সিএক্সও রাউন্ডটেবিল যেখানে সাপ্লাই চেইনে নারীদের অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, সেখানে আইপিডিসি ভবিষ্যৎ নারী উদ্যোক্তাদের ইন্সটিটিউশনাল সাপ্লায়ার হয়ে উঠতে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।”
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত আইপিডিসি জয়ী ৩৬০ সাব-ব্রাঞ্চে ‘কানেক্টিং এন্টারপ্রাইজ উইথ জয়ী’ শীর্ষক একটি সক্ষমতা উন্নয়ন সেশনেরও আয়োজন করা হয়, যেখানে নতুন উদ্যোক্তাদের ইন্সটিটিউশনাল সাপ্লায়ার হিসেবে প্রস্তুত করতে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই সেশনের দুটি অংশ ছিল। প্রথমটি ‘ইন্সটিটিউশনাল সাপ্লায়ার ও বিজনেস সাস্টেইনেবিলিটির জন্য ব্যাংকিং সমাধান’, যা পরিচালনা করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নোমানুর রশীদ। তিনি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ব্যবসা পরিচালনায় প্রস্তুতি ও দীর্ঘমেয়াদী টেকসই কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। দ্বিতীয় অংশটি ছিল ‘উদ্যোক্তার অভিজ্ঞতা শেয়ারিং’, যেখানে প্রিয়া ফ্যাশন-এর প্রতিষ্ঠাতা তানজিলা পারভীন কীভাবে বাড়িতে পোশাক সেলাই করা থেকে শুরু করে আড়ং, নবরূপা ও শৈশবের মতো প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের সাপ্লায়ার হয়ে ওঠেন সেই গল্প শেয়ার করেন। তার কথাগুলো নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ছিল অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক।
এই ধারাবাহিক উদ্যোগগুলো আইপিডিসি’র কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ, যা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। কর্পোরেট সংযোগ তৈরি থেকে শুরু করে যথাযথভাবে প্রস্তুত করা পর্যন্ত, ‘জয়ী ৩৬০’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আইপিডিসি উদ্যোক্তাদের বাজার প্রবেশ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করছে।
নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসার এই পরিবর্তনশীল পরিবেশে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি ভবিষ্যতেও সামনের কাতারে থাকবে এবং প্রতিটি স্বপ্ন যেন যথাযথ সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করবে।