সারা বিশ্বের সঙ্গে নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৫, বাংলাদেশ পর্বের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর, সোমবার সন্ধ্যায় সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়।
ফলাফল অনুযায়ী ঢাকায় চ্যাম্পিয়ন টিম ক্রোনজ, ১ম রানার আপ টিম অ্যাস্ট্রো-৪, ২য় রানার আপ টিম স্পেস কিটি। আর চট্টগ্রামে চ্যাম্পিয়ন টিম এক্সোভিশনারিস, ১ম রানার আপ টিম কুয়েট মঙ্গলচারী, ২য় রানার আপ টিম মেটিওর গার্ডিয়েন্স। বরিশালে চ্যাম্পিয়ন টিম পোলারিস, ১ম রানার আপ টিম সিরিয়াস, ২য় রানার আপ টিম লেনিয়াকি। রাজশাহী চ্যাম্পিয়ন টিম মাইনাস ওয়ান, ১ম রানার আপ টিম অরা, ২য় রানার আপ টিম টেরা ফার্ম। খুলনায় চ্যাম্পিয়ন টিম ওয়াসিস, ১ম রানার আপ টিম অ্যাটলাস, ২য় রানার আপ টিম অব্লিভাইট। সিলেটে চ্যাম্পিয়ন টিম কোড ক্রাকার্স, ১ম রানার আপ টিম এআইবিএ স্পেস ওয়েভ, ২য় রানার আপ টিম উল্কা।
এছাড়াও কুমিল্লায় চ্যাম্পিয়ন টিম নো ম্যাডস, ১ম রানার আপ টিম কুয়েন্টিসেন্স মাইনাস ইনফিনিটি, ২য় রানার আপ টিম ইকিলিপজড; ময়মনসিংহে চ্যাম্পিয়ন টিম নিউ বাইস, ১ম রানার আপ টিম সফট স্যাসি, ২য় রানার আপ টিম অ্যাস্ট্রা ফাইন্ড এবং রংপুরে চ্যাম্পিয়ন টিম ফাঁকিবাজ, ১ম রানার টিম স্পেস স্কোয়াড, ২য় রানার আপ টিম এস্পেক্ট্রা।
এর আগে ৩ অক্টোবর, শুক্রবার সকাল থেকে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি শুরু হওয়া এই হ্যাকাথন চলে একটানা ৩৬ ঘন্টা।
বিগত ১১ বছরে বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় টানা তিনবারসহ সর্বমোট চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্র্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবী তরুণদের একত্রিত করে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই অংশ হিসেবে বেসিসের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করেছে। নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ১ কোটি শিক্ষার্থীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ২ লাখ শিক্ষার্থীর সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের ৯টি শহরে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হচ্ছে, যেখানে প্রতিটি শহরে ১ জন করে লোকাল লিড প্রতিযোগীদের কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করছেন। ৩ ও ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী অনলাইন হ্যাকাথনে ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছেন এবং এবছর নয়টি রিজিয়ন থেকল প্রায় ৫০০ এর মতো প্রজেক্ট সাবমিশন হয়েছে।
এবার হ্যাকাথনের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে অংশগ্রহণ করছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ‘লুনার ভিআর প্রজেক্ট’ বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটাগরিতে চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিবে এমন ভার্চুয়াল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম অলীক। ২০২১ সালে ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) সম্মিলিত দল ‘টিম মহাকাশ’ এবং ২০২২ সালে "টিম ডায়মন্ডস" - "সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক" বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। এবং নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩-এর বেস্ট স্টোরিটেলিং ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের টিম ভয়েজার্স।