এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের তরুণ সাংবাদিক ও যোগাযোগকর্মীদের জন্য বিশেষ সুযোগ নিয়ে এসেছে ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এ বছর প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে ‘প্যাটসি রবার্টসন অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং কমিউনিকেশন স্কিলস ইন অ্যাডভান্সিং কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিস’ ক্যাটেগরি।
বিশেষ পুরস্কারটি দেওয়া হবে সেই সব তরুণ সাংবাদিক, লেখক, সম্প্রচারক ও যোগাযোগকর্মীদের, যারা সাহস, সৃজনশীলতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে মিডিয়া স্বাধীনতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
নতুন যুক্ত ক্যাটেগরিতে আবেদন করতে পারবেন সম্পাদক, রিপোর্টার, ফটোসাংবাদিক, ওয়েবকাস্টার, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট, ভাষ্যকার, সম্প্রচারক, ব্লগার, পডকাস্টার ও স্ট্রিমাররা। পুরস্কার হিসেবে থাকছে এক হাজার পাউন্ড নগদ অর্থ, একটি সনদ ও একটি ট্রফি।
তরুণ মিডিয়া সৃজনশীলদের স্বীকৃতি
কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী আবেদনকারীদের অবশ্যই কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিক হতে হবে ও ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। অন্তত ১২ মাস পেশাদার বা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত থাকতে হবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) যেকোনো একটি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে হবে।
প্যাটসি রবার্টসন পুরস্কারের জন্য যোগ্য হতে হলে আবেদনকারীকে জমা দিতে হবে তাদের কাজের নমুনা, পেশাগত রেফারেন্স এবং কীভাবে তাদের কাজ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-১৬ (শান্তি, ন্যায়বিচার ও দৃঢ় প্রতিষ্ঠান) অগ্রসর করছে তার প্রমাণ।
আবেদনের শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০২৫। অনলাইনে এই ঠিকানায় গিয়ে আবেদন করা যাবে পুরস্কারের জন্য।
প্যাটসি রবার্টসন স্মরণ
এই পুরস্কার প্রবর্তন করেছে কমনওয়েলথ অ্যাসোসিয়েশন-যা সাবেক সেক্রেটারিয়েট কর্মকর্তাদের সংগঠন। পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সংগঠনের প্রথম চেয়ারম্যান প্রয়াত প্যাটসি রবার্টসনের নামে। তিনি কমনওয়েলথ সচিবালয়ের যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক ছিলেন এবং ছিলেন নির্ভীক সাংবাদিকতার প্রবক্তা, নারী সাংবাদিকদের নিরলস সমর্থক এবং বিশ্বাস করতেন-শব্দের শক্তিই পারে সমাজকে বদলে দিতে।
কমনওয়েলথ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ম্যাক্স গেইলার্ড বলেন, ‘আমরা প্যাটসি রবার্টসনকে সম্মান জানাচ্ছি তরুণদের পুরস্কৃত করে এবং তাদের কাজকে আলোচনায় এনে। তরুণ সাংবাদিকরা শুধু গল্প বলেন না, তারা ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক সমাজের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি। এই পুরস্কারের মাধ্যমে আমরা সেই নতুন প্রজন্মকে শক্তি দিচ্ছি, যারা গণতন্ত্রের ভিতকে মজবুত করছে।’
কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের সামাজিক নীতি উন্নয়ন বিভাগের প্রধান লেইন রবিনসন বলেন, ‘কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড সবসময়ই তরুণ নেতৃত্বকে আলোকিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম। এরা কেবল কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টই করছে না, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করছে এবং ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য পূরণে অবদান রাখছে। মিডিয়া ও যোগাযোগে তরুণদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে আমরা আবারও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও সুশাসনের প্রতি অঙ্গীকার জানাচ্ছি।’
তরুণদের অবদান
‘কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডস ফর এক্সেলেন্স ইন ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক’পুরস্কার তরুণদের সেই অসাধারণ প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়, যা ব্যক্তি ও সমাজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। একই সঙ্গে এটি দেখায়-কীভাবে তরুণরা নতুন ধারণায় জাতীয় ও স্থানীয় সমস্যার সমাধান করছে এবং অন্যদের দেশগঠনে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করছে।