শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান লেখক ফোরামের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির শুরু হলো নতুন যাত্রা। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদার তেরেজা ভবনের অডিটোরিয়ামে শপথ গ্রহণ এবং মতবিনিময় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি অমল মিল্টন রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ঢাকা ক্যাথলিক আর্চডায়োসিসের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ ক্রুজ ওএমআই নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ ক্রুজ ওএমআই বলেন, ‘লেখকরা যেন তাদের লেখনীর মাধ্যমে মানব মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট হয় এবং মানুষের মধ্যে একতা ও ভালোবাসার বন্ধন স্থাপনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন।’
তিন বছর মেয়াদি নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটির মধ্যে রয়েছেন সভাপতি অমল মিল্টন রোজারিও, সহ-সভাপতি পিউস ছেড়াও এবং হেলেন কাপালী, সাধারণ সম্পাদক রক রোনাল্ড রোজারিও, সহ-সাধারণ সম্পাদক জেনীভিয়েভ রোজারিও, কোষাধ্যক্ষ হিমেল রোজারিও, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক জ্যাষ্টিন গোমেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন পল ক্রুশ, ধর্মীয় সম্পাদক শিপ্রা গমেজ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক গিলবার্ট গমেজ, নির্বাচিত সদস্য মালা রিরেরু, বিজয় ম্যানুয়েল ডি প্যারেস এবং পলিন ফ্রান্সিস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক সোহরাব হাসান। বক্তব্যে নতুন কমিটির উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের অনেক দায়িত্ব। আপনারা এ সংগঠনকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। আপনারা নতুন লেখকদেরকে উৎসাহিত করবেন এবং জাতীয় পর্যায়ে আপনাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করবেন।’
খ্রিস্টীয় যোগাযোগ কেন্দ্রের পরিচালক ও সাপ্তাহিক প্রতিবেশীর সম্পাদক ফাদার আগস্টিন বুলবুল রিবেরু বলেন, ‘লেখকরা প্রগতিশীল, সচেতন ও সৃজনশীল হন। আমরা খ্রিষ্টান লেখক হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতা ইতিবাচক হতে হবে। আমাদের সবার মনে প্রাণে চেষ্টা থাকতে হবে নিজেদেরকে লেখার সংস্কৃতিতে আরও বেশি করে যুক্ত হতে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত এবারের লেখক ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্যরা শুদ্ধ সাহিত্য চর্চার সংস্কৃতিকে আরো ব্যপ্তি ঘটাবেন সেই আশা করি।’
বাংলাদেশ খ্রিষ্টান লেখক ফোরাম ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রগতিশীল লেখক পরিষদ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে।