২ সেপ্টেম্বর রমনার সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রালে ঈশ্বরের সেবক টি এ গাঙ্গুলীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পবিত্র খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি। খ্রিষ্টযাগের শুরুতে ঈশ্বরের সেবক টি এ গাঙ্গুলীর ছবিতে মাল্য প্রদান করা হয় ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
উপদেশবাণীতে কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও খ্রিষ্টভক্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘ঈশ্বরের সেবক টি এ গাঙ্গুলীর প্রয়ানে যে মঙ্গল সমাচার পাঠ করে তাকে আমরা বিদায় দিয়েছিলাম আজ সেই একই বাণী পাঠ করে আমরা তাকে স্বরণ করবো যেনো মন্ডলীর প্রতি তার যে আত্নত্যাগ , তাঁকে অনুসরণ করে আমরা যেনো মন্ডলীকে সুসংগঠিত করতে পারি। ঈশ্বরের সেবক টি এ গাঙ্গুলী যদি সাধু ঘোষিত হন, তাহলে আমরা যেনো প্রস্তুত থাকতে পারি।’
খ্রিষ্টযাগে, ঈশ্বরের সেবক টি এ গাঙ্গুলীকে ধন্য শ্রেণীভুক্তকরণের ও তাঁর মাধ্যমে অনুগ্রহলাভের প্রার্থনা করা হয়।
পবিত্র খ্রিষ্টযাগের পর রমনা কাথিড্রাল প্রাঙ্গণে অবস্থিত ঈশ্বরের সেবক টি এ গাঙ্গুলীর কবরে বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, ধর্মসংঘ ও ব্যক্তি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৭৭ সনের ২ সেপ্টেম্বর আর্চবিশপ থিওটোনিয়াস অমল গাঙ্গুলী মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৬ সনে ভাটিকান থেকে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট তাঁকে ‘ঈশ্বরের সেবক’ উপাধি প্রদান করেন।
সাধু শ্রেণীভুক্তকরণের প্রথম ধাপ হলো ‘ঈশ্বরের সেবক’ পদ। এই পদে তাঁরাই সম্মানিত হন যারা সেবা, ভালবাসা, ক্ষমা, সততা ও পবিত্র জীবন যাপন করে থাকেন।
আর্চবিশপ টি এ গাঙ্গুলীর জন্ম নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ গ্রামে ১৯২০ সনের ১৮ ফেব্রয়ারি। তাঁর পিতা কমল গমেজ এবং মাতা কমলা গমেজ। ছোট বেলায় তাঁকে ডাকা হতো ‘থেটন’ নামে। ১৯৩০ সনে তাঁর পিতা কমল গমেজ যখন কোলকাতায় চাকরি করতেন তখন তাঁর গাঙ্গুলী পদবীটা পছন্দ হয়। তখন তিনি তাঁর পরিবারের সকলের পদবী গমেজ থেকে পরিবর্তন করে গাঙ্গুলী রাখেন। ১৯৪৬ সনের ৬ জুন মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি ভারতের রাঁচীতে সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রালে পুরোহিত হন। তিনি ছিলেন সুনাম ধন্য নটরডেম কলেজের প্রথম বাঙালি অধ্যক্ষ। ১৯৬০ সনের ৭ অক্টোবর তিনি ঢাকার সহকারী বিশপ হিসেবে অভিষিক্ত হন। ভাটিকান তাঁকে ১৯৬৫ সনের ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী আর্চবিশপ হিসেবে নিয়োগ দেয়। সূত্র: ডিসিনিউজ