৫ সেপ্টেম্বর। শ্রমিক সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী ভূতাহারার আওতাধীন নিয়ামতপুর কেন্দ্রের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় দিন। এই দিনে সুদূর বরিশাল থেকে এলএসসি সম্প্রদায়ের সিস্টারগণ নিয়মতপুর কেন্দ্রে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য আসেন।
উক্ত বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিয়ামতপুর কেন্দ্রের আশ-পাশের বিভিন্ন গ্রামের গির্জা পরিচালক, গ্রাম প্রধান ও খ্রিস্টভক্তগণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সিস্টারগণকে সান্তালী নৃত্যের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর পবিত্র খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সবাই অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন ফাদার উইলিয়াম মুরমু।
বাণী সহভাগিতায় তিনি বলেন, “ঈশ্বরের পরিকল্পনা সত্যিই অসাধারণ। তিনি এই সিস্টারগণকে অত্র এলাকার মানুষের ধর্মীয় ও নৈতিক গঠন দানের জন্য প্রেরণ করেছেন। আমরা প্রত্যেকে যেন তাদের সাথে সহযোগিতা করি”।
খ্রিস্টযাগে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও এর পক্ষে ফাদার প্রেমু রোজারিও, ভূতাহারা ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার লুইস সুশীল পেরেরা, ফাদার সুশান্ত ডি কস্তা, ফাদার রঞ্জিত, ফাদার যোয়াকিম হেম্ব্রম ও ফাদার প্লাবন রোজারিও।
খ্রিস্টযাগের শেষে সিস্টারগণকে শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।
ফাদার লুইস সুশীল পেরেরা বলেন, “সিস্টারগণের আগমন ধর্মপল্লীর জন্য বিশেষ আশির্বাদ। সিস্টারগণের প্রৈরিত্রিক কাজের মাধ্যমে অত্র এলাকার মানুষ যিশুকে আরও জানতে পারবে, যিশুর ভালবাসা উপলব্দি করতে পারবে। বরেন্দ্রভূমিতে সিস্টারদের নতুন পথ চলা সুন্দর হোক।”
এলএইচসি সংঘের প্রধান অধ্যক্ষা তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ এবং বিশপ মহোদয়কে ধন্যবাদ কারণ তিনি সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন যেন সিস্টারগণ সুন্দরভাবে প্রচারকাজে আত্মনিয়োগ করতে পারেন।
পরিশেষে সিস্টারদের থাকার ঘরগুলো আশির্বাদ করা হয় এবং সকলে জন্য টিফিন প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য, সিস্টার বিনু পালমা (এলএইচসি) এবং সিস্টার গৌরী মুরমু (এলএইচসি), নিয়ামতপুর কেন্দ্রে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেছেন।
রিপোর্টার : ফাদার যোয়াকিম হেম্ব্রম