অভিজ্ঞতায় বিপ্লব আনছে টেকনো ক্যামন ৪০ সিরিজ

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৫
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png নিজস্ব প্রতিবেদক
https://techvoice24.com/assets/images/logoIcon/logo.png
  ছবি: সংগৃহীত

গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ৫জি পরিষেবা চালু করা হয়েছে; ফলে কানেক্টিভিটি সুবিধা এবং স্মার্টফোন অভিজ্ঞতায় বড় পরিবর্তন আসছে। ফাইভজি সেবা স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশাবাদী এই খাত সংশ্লিষ্টরা। 

ফাইভজি উন্নত সংযোগ এবং নেটওয়ার্ক প্রদান করে, এ কারণে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন এই উন্নত নেটওয়ার্কের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্মার্টফোন ব্যবহারে আরও আগ্রহী। ফাইভজি’র পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য, স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো ফাইভজি-সমর্থন করে এমন ডিভাইস নিয়ে আসছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণ করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। 

তবে, এক্ষেত্রে সবার থেকে এগিয়ে আছে টেকনো। ব্রান্ডটি সবসময় এর ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয়। অসাধারণ ফিচারসহ টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো ৫জি ডিভাইসটি ইতোমধ্যে দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে, ব্যবহারকারীরা এখন টেকনো ডিভাইসের মাধ্যমে ফাইভজি নেটওয়ার্কের পূর্ণ সুফল উপভোগ করতে পারবেন। 

এছাড়া, ক্যামন ৪০ সিরিজে রয়েছে অত্যাধুনিক এআই ফিচার, শক্তিশালী ক্যামেরা সিস্টেম এবং সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিমিয়াম ডিজাইনের অপূর্ব সমন্বয়। ফ্ল্যাশস্নাপ প্রযুক্তি, আন্ডারওয়াটার (পানির নিচে) ফটোগ্রাফি এবং প্রোডাক্টিভিটি (উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক) টুলসের মতো অসাধারণ উদ্ভাবনের মাধ্যমে, ক্যামন ৪০ প্রো এবং ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় যোগ করবে নতুন মাত্রা।  

টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি
মিড-রেঞ্জের বাজেটের স্মার্টফোনের বাজারে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিভাইস আসছে, কিন্তু সব ডিভাইস আপনার কাজের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। বিশেষ করে, এই ফাইভজি’র যুগে আপনার প্রয়োজন হবে এই প্রযুক্তি সমর্থন করে এমন একটি ফোন। যেমন ধরুন-টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি। 

এই ফোনটি মূলত যারা ক্যামেরা ও স্মুথ পারফরম্যান্সকে অগ্রাধিকার দেন, তাদের জন্য একেবারে উপযুক্ত। আধুনিক ডিজাইনের এই ফোনটি বাজারে তিনটি আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যাচ্ছে-গ্যালাক্সি ব্ল্যাক, এমেরাল্ড লেক গ্রীন ও গ্লেসিয়ার হোয়াইট। 

ডিভাইসটির স্লিম ও হালকা গঠন (মাত্র ৭.২৯ মিমি পুরু) ফোনটিকে ব্যবহার ও বহনের ক্ষেত্রে করে তোলে অত্যন্ত আরামদায়ক।

এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১৫ অপারেটিং সিস্টেমে, সাথে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭৩০০ আল্টিমেট চিপসেট। এর সাথে রয়েছে ৮জিবি ফিজিক্যাল র‍্যাম এবং ৮জিবি এক্সটেন্ডেড র‍্যাম, অর্থাৎ মোট ১৬জিবি র‍্যাম ও ২৫৬জিবি স্টোরেজ-যা মাল্টিটাস্কিং ও হাই-এন্ড গেমিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত। 

ফোনটির অন্যতম বড় আকর্ষণ হলো এর বিশাল ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রেজোলিউশন ১০৮০x২৪৩৬ পিক্সেল এবং চমকপ্রদ ১৪৪হার্জ রিফ্রেশ রেট। ফলে আপনি যেকোনো ধরণের স্ক্রলিং, ভিডিও দেখা বা গেমিং করার সময় উপভোগ করতে পারবেন সুপার স্মুথ ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স।

ক্যামেরা পারফরম্যান্স দিক থেকেও এই ফোনটি অন্য অনেক ফোনের থেকে ভালো। এর ১/১.৫৬” সেন্সর সাইজ এবং ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) সমৃদ্ধ ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন রিয়ার ক্যামেরা রাতের অন্ধকারেও পরিষ্কার ছবি তুলতে সক্ষম। সঙ্গে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স, যা গ্রুপ ফটো বা প্রাকৃতিক দৃশ্য ধারণে কার্যকর। সেলফি ক্যামেরাটিও কোনো অংশে কম নয়-এতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা, সাথে অটোফোকাস, যা নিশ্চিত করে স্পষ্ট ও ডিটেইলড সেলফি এবং ভিডিও কল।

ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি ফোনের ব্যাটারি লাইফও বেশ ভালো। ফোনটিতে রয়েছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যা আপনাকে সহজেই পুরো একদিনের বেশি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। এর সঙ্গে রয়েছে ৪৫ ওয়াট সুপার চার্জিং সাপোর্ট, যা অল্প সময়ের মধ্যে ডিভাইসকে চার্জ করতে সাহায্য করে। 

সাউন্ড সিস্টেমেও রয়েছে বিশেষত্ব-ডুয়াল স্পিকার ও ডলবি অ্যাটমস প্রযুক্তি সমর্থিত হওয়ায় এর অডিও কোয়ালিটি আরও স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত। এছাড়াও, ফোনটিতে রয়েছে ইনফ্রারেড রিমোট কন্ট্রোল, যা দিয়ে আপনি বাসার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। 

সব মিলিয়ে, টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি এমন একটি ডিভাইস যা ডিজাইন, ডিসপ্লে, ক্যামেরা ও পারফরম্যান্স-সব দিক থেকেই ব্যবহারকারীর প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম। আর এই দারুণ সব ফিচার থাকা সত্ত্বেও এর ৮/২৫৬জিবি ভ্যারিয়েন্টের মূল্য মাত্র ৩৪,৯৯৯ টাকা। এই ফোন দেশের সব টেকনো অনুমোদিত আউটলেটে এখন পাওয়া যাচ্ছে। 

টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো
মাঝারি বাজেটের স্মার্টফোনের বাজারে টেকনো আবারও দেখিয়ে দিল, প্রিমিয়াম ফিচার পেতে হলে মোটা অঙ্ক খরচ করতেই হবে-এই ধারণা ভুল। টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো এমন একটি স্মার্টফোন যা আধুনিক ডিজাইন, স্মার্ট পারফরম্যান্স ও ইনোভেটিভ ক্যামেরা ফিচারের মাধ্যমে নতুন মানদণ্ড সেট করেছে। বিশেষ করে যারা ছবি তোলা ও স্মার্ট ইউজার এক্সপেরিয়েন্সে গুরুত্ব দেন, তাদের জন্য ফোনটি হতে পারে সেরা পছন্দ।

প্রথমেই চোখে পড়ে এর কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যা ক্যামন ৪০ প্রো ডিভাইসে যোগ করেছে প্রিমিয়াম লুক ও অনুভূতি। এই ডিসপ্লেটির ১৪৪হার্জ রিফ্রেশ রেট থাকার ফলে ব্যবহারকারীরা পাবেন অত্যন্ত মসৃণ স্ক্রলিং ও ইন্টারঅ্যাকশন সুবিধা, যা সাধারণত উচ্চমূল্যের ফোনেই দেখা যায়। 

শুধু তাই নয়, এই ফোনটি আইপি৬৮/৬৯ সনদপ্রাপ্ত ডাস্ট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট, অর্থাৎ এটি ধুলো এবং পানির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত। ফলে, আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি বা পানির নিচে ছবি তোলা এখন আর কোনো কল্পনা নয়-ক্যামন ৪০ প্রো ডিভাইসের মাধ্যমে এখন সেটি খুব সহজেই করা সম্ভব। 

ফোনটির ফ্রন্ট ক্যামেরা সেকশনে রয়েছে একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা, যা চমৎকারভাবে ডিটেইলস ক্যাপচার করে এবং প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল ছবি তুলতে সক্ষম। রিয়ার ক্যামেরা সিস্টেমে শক্তিশালী ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে; এতে আরও রয়েছে উন্নত ইমেজ প্রসেসিং এবং আন্ডারওয়াটার ক্যামেরা অপ্টিমাইজেশন, যা এই ফোনটিকে অন্য সব ফোনের থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে রেখেছে।

এই ফোনের আরেকটি ব্যতিক্রমী ও কার্যকর ফিচার হলো ওয়ান-ট্যাপ ফ্ল্যাশস্নাপ প্রযুক্তি। এই ফিচার ব্যবহার করে খুব দ্রুতগতির ও মুভিং সাবজেক্টের ছবি স্পষ্টভাবে তোলা যাবে। এটি একটি গেম-চেঞ্জিং ফিচার, যা ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরও সহজ এবং উপভোগ্য।  

টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো শুধু ক্যামেরা কিংবা ডিজাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ফোনটিতে যুক্ত হয়েছে অসংখ্য এআই-চালিত স্মার্ট টুলস, যা ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন কাজকে করে তুলবে আরও সহজ, দ্রুত এবং কার্যকর। যেমন- এআই ফুল-লিংক কল অ্যাসিস্ট্যান্ট, এআই স্টুডিও (এআই ইরেজার ২.০, এআই ইমেজ এক্সটেন্ডার, এআই শার্পনেস প্লাস, এআই পারফেক্ট ফেস, এআইজিসি পোট্রেট ২.০), এআই প্রোডাক্টিভিটি ফিচার (এআই রাইটিং, এআই ট্রান্সলেট, এআই সার্কেল সার্চ) এবং এআই ডকুমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট।  

ভালো পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে ক্যামন ৪০ প্রো ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে হেলিও জি১০০ আনলিমিটেড প্রসেসর, যা নিরবচ্ছিন্ন মাল্টিটাস্কিং ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য উপযোগী। এছাড়া, ফোনটি ৬০ মাস পর্যন্ত ল্যাগ-ফ্রি পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে সক্ষম। 

আরও আছে ৮জিবি ফিজিক্যাল র‍্যাম ও ৮জিবি ভার্চুয়াল র‍্যাম এবং ২৫৬জিবি স্টোরেজ, যা গেমিং, ভিডিও এডিটিং বা ভারী অ্যাপ ব্যবহারের সময় কোনও সমস্যা সৃষ্টি করবে না। সাথে থাকছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং, যা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ নিশ্চিত করে। 

এছাড়া, এই ফোন ডিএক্সওএমএআরকে স্মার্ট চয়েস লেবেল অর্জন করেছে, ফলে এর ক্যামেরার কোয়ালিটি নিয়ে কোনো সংশয় থাকার সুযোগ নেই। এতোসব অসাধারণ ফিচার থাকা সত্ত্বেও ফোনটির দাম মাত্র ২৭,৯৯৯ টাকা।
 

image

আপনার মতামত দিন