ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের কফিনে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়, যেখানে এই ভাষাসংগ্রামীর প্রতি শেষ সম্মান জানানোর জন্য সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৬ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুর আগে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর শোক র্যালির মাধ্যমে আহমদ রফিকের লাশ ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজে দান করা হবে। সেখানে তাকে শেষ বিদায় জানানো হবে।
মৃত্যুর আগেই তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য মরণোত্তর দেহদান করে গেছেন, যা তার জনকল্যাণমুখী মানসিকতার এক অনন্য উদাহরণ।
১৯৫২ সালে যখন তিনি তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী, তখন তিনি ফজলুল হক হল, ঢাকা হল এবং মিটফোর্ডের ছাত্রদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেছেন। পাশাপাশি সভা-সমাবেশ ও মিছিলে তিনি ছিলেন নিয়মিত মুখ।
ভাষা আন্দোলনের সক্রিয়তার কারণে ১৯৫৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী ছাত্রদের মাঝে একমাত্র তার নামেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।
১৯৫৫ সালের শেষ দিকে প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসে পড়াশোনায় ফিরলেও এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে তিনি চিকিৎসকের পেশায় যাননি। দেশের ইতিহাস ও জনকল্যাণে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।