ঢাকার গুলশানের পর এবার বিজয় সরণির ছয়টি পয়েন্টে পরীক্ষামূলকভাবে এআই সিগন্যাল সিস্টেম চালু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধান উপদেষ্টাকে ছয়টি সুপারিশ দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞরা। অবৈধ যানবাহন সরানোর পাশাপাশি ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা।
গুলশান-২ গোলচত্বর এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যালে বিভিন্ন যানবাহনকে শনাক্ত করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ক্যামেরা। ট্রাফিক আইন ভাঙা এসব গাড়ির তথ্য চলে আসছে সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টারে।
গত বছর গুলশানে এসব ক্যামেরা বসানোর পর বিজয় সরণিকে কেন্দ্র করে আশপাশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এই ক্যামেরা বসানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়ছে। তবে এআই ট্রাফিক ব্যবস্থাকে বিশেষজ্ঞরা স্বাগত জানালেও এ পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ বলছেন তাঁরা।
বুয়েটের অধ্যাপক ড. এম হাদিউজ্জামান বলেন, ঢাকার গুলশান-২ নম্বরে যে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে সেখানে ট্রাফিক ও এনফোর্সমেন্ট দুধরনের ক্যামেরাই আছে। ট্রাফিক ক্যামেরা মূলত রিয়েল টাইম অপটিমাইজ করে থাকে। অর্থাৎ কোন লেনে কী পরিমাণ যানবাহনের সারি তৈরি হচ্ছে। এর ওপর ভিত্তি করেই সবুজ, লাল বা হলুদ বাতি জ্বলে। সেই সঙ্গে সেখানে এনফোর্সমেন্ট ক্যামেরা রয়েছে। এ ক্যামেরা যদি কোনো গাড়ি লেন ভায়োলেশন করে, বা উল্টো রাস্তা দিয়ে আসে তা ডিটেকশন করতে পারে। সে অনুযায়ী মামলা দেওয়ার একটা সুযোগ রয়েছে।
ড. এম হাদিউজ্জামান আরও বলেন, ‘এই দুই ক্যামেরার পাশাপাশি নিরাপত্তা ক্যামেরা বা পিটিজেড ক্যামেরাও বসানো উচিত। যার মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান জুম-ইন ও জুম-আউট করে বড় জায়গার ইনডোর আউটডোরও পর্যবেক্ষণ করা যায়।’
এদিকে নগরের সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অবৈধ যান বিলুপ্তসহ ছয়টি সুপারিশ করেছে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল।
ড. এম হাদিউজ্জামান আরও বলেন, ঢাকায় সিটি বাস সার্ভিস মেট্রোরেলের তুলনায় ৭ গুণ বেশি যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। অর্থাৎ ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হয়ে উঠবে এই বাস সার্ভিস।
চলমান পরিস্থিতিতে সড়কে নৈরাজ্য কাটিয়ে উঠতে সব পক্ষ নিয়ে সমন্বয় করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশসহ অন্য সংস্থাদের সমন্বয়ে আমরা সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছি।’