মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত বিস্ময় বালক কাইরান কাজী স্পেসএক্স থেকে বিদায় নিয়ে যোগ দিয়েছেন ওয়ালস্ট্রিটের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সিটাডেল সিকিউরিটিজে। অথচ এই ঘটনায় যখন প্রযুক্তি ও ফিন্যান্স জগতে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে, তখন স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের এক মন্তব্য সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ কাইরান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মাস্ক বলেন, ‘এই প্রথম আমি তার নাম শুনলাম।’
বিস্ময় বালকের প্রযুক্তি জগতে উত্থান
কাইরানের যাত্রা এক কথায় অবিশ্বাস্য। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্ক বিভাগে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার তৈরিতে কাজ করেন, যা স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইটের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং বিশ্বের লাখ লাখ ব্যবহারকারীর কাছে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সহায়ক হয়। তবে স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানে এমন অবদান রাখার পরেও ইলন মাস্কের তাকে না চেনার দাবি অনেককেই বিস্মিত করেছে।
প্রযুক্তি থেকে ফিন্যান্সে
দুই বছর স্পেসএক্সে কাজ করার পর কাইরান নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে পরিমাণগত ফিন্যান্স-এ প্রবেশ করেন। তার মতে, মহাকাশ প্রকল্পে যেখানে ফলাফল পেতে বছরের পর বছর লেগে যায়, সেখানে ফিন্যান্সে কাজের ফল তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যায়। এই গতি এবং ফলাফলের প্রভাবের তাড়না থেকেই তার এই পরিবর্তন।
ফরচুন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, তিনি সম্প্রতি সিটাডেল সিকিউরিটিজ-এ ‘Global Trading Infrastructure Engineer’ হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।
ব্যতিক্রমী এক প্রতিভা
কাইরানের প্রতিভার গল্প একেবারেই চলচ্চিত্রের মতো।
>> ৯ বছর বয়সে ল্যাবে ইন্টার্নশিপ
>>১০ বছর বয়সে এআই গবেষণায় কাজ
>>১১ বছর বয়সে সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি
>>১৪ বছর বয়সে স্পেসএক্সে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
>>১৬ বছর বয়সে ওয়ালস্ট্রিটে নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
কেন সিটাডেল সিকিউরিটিজ?
কাইরান সিটাডেলকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির মেধাভিত্তিক সংস্কৃতি, উচ্চ গতির কাজের পরিবেশ এবং তাৎক্ষণিক ফলাফলের সুযোগ তাকে আকৃষ্ট করেছে। প্রযুক্তির বাইরে গিয়ে কোয়ান্ট ফিন্যান্সকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত তার প্রকৌশল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর প্রতি আগ্রহকেও নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইকোনোমিক টাইমস